ঘরের মাঠে শক্তিশালী কর্ণাটকের কাছ থেকে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেওয়ার হাতছানি ছিল ঋদ্ধিমান সাহার নেতৃত্বাধীন ত্রিপুরার সামনে। তবে তীরে এসে তরী ডোবে তাদের। দুর্ভাগ্যজনক রান-আউটে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের চোয়ালচাপা লড়াই থেমে যাওয়ায় ৬ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়েন মায়াঙ্ক আগরওয়ালরা।
আগরতলায় ত্রিপুরার বিরুদ্ধে এলিট-সি গ্রুপের ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে কর্ণাটক। তারা প্রথম ইনিংসে ২৪১ রানে অল-আউট হয়ে যায়। মায়াঙ্ক আগরওয়াল ওপেন করতে নেমে অধিনায়কোচিত হাফ-সেঞ্চুরি করেন। তিনি ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০০ বলে ৫১ রান করে মাঠ ছাড়েন।
এছাড়া কিষান বেদারে ৬২ ও বিজয়কুমার বৈশাক ৫০ রানের যোগদান রাখেন। ত্রিপুরার হয়ে প্রথম ইনিংসে মণিশঙ্কর মুরাসিং ৪টি, রানা দত্ত ৩টি ও অভিজিৎ সরকার ২টি উইকেট নেন। ১টি উইকেট নেন বিক্রমজিৎ দেবনাথ।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ত্রিপুরা প্রথম ইনিংসে ২০০ রানে অল-আউট হয়। বিক্রমজিৎ দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৫৭ রান করেন। ১৩৭ বলের ইনিংসে তিনি ৭টি চার মারেন। এছাড়া বিশাল ঘোষ ৪৪ ও মুরাসিং ৩৯ রানের যোগদান রাখেন। ক্যাপ্টেন ঋদ্ধি প্রথম ইনিংসে ২৮ রান করে আউট হন। ১ রানেই আউট হয়ে বসেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়।
প্রথম ইনিংসে কর্ণাটকের বাসুকি কৌশিক ৪টি উইকেট নেন। ৩টি উইকেট দখল করেন বিদ্বথ কাভেরাপ্পা। বিজয়কুমার বৈশাক ২টি ও হার্দিক রাজ ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৪১ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে কর্ণাটক। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় ১৫১ রানে। শ্রীনিবাস শরৎ ৪৮, কিষান বেদারে ৪২ ও বিজয়কুমার ২২ রান করেন দ্বিতীয় ইনিংসে। মায়াঙ্ক আউট হন ১৭ রান করে। রানা দত্ত ও মুরাসিং ৩টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন। ২টি উইকেট তুলে নেন পারভেজ সুলতান।
প্রথম ইনিংসের খামতি মিলিয়ে জয়ের জন্য ত্রিপুরার সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৯৩ রানের। শেষ ইনিংসে ত্রিপুরা একসময় ১১৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে সুদীপ চট্টোপাধ্যায় টেল এন্ডারদের নিয়ে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ায় মরিয়া চেষ্টা করেন। তবে সফল হননি তিনি। ব্যক্তিগত ৮২ রানের মাথায় রান-আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন সুদীপ। ১৪৪ বলের ইনিংসে তিনি ১০টি চার মারেন।
ত্রিপুরা দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় ১৬৩ রানে। ২৯ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ জেতে কর্ণাটক। দ্বিতীয় ইনিংসে খাতা খুলতে পারেননি ত্রিপুরা দলনায়ক ঋদ্ধিমান সাহা। তিনিও রান-আউট হন। কাভেরাপ্পা ৪টি ও বিজয়কুমার ৩টি উইকেট তুলে নেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭২ রান ও ৫টি উইকেট সংগ্রহ করে ম্যাচের সেরা হন বিজয়কুমার।