Simon Doull apologizes on live broadcast: ব্যাকফুট নো-বল নিয়ে ভুল সমালোচনার জন্য সরাসরি সম্প্রচারে ক্ষমা চাইলেন সাইমন ডুল। নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার এবং বর্তমান জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার সাইমন ডুল সম্প্রচারের সময় ব্যাকফুট নো-বল নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য সরাসরি সম্প্রচারে ক্ষমা চাইলেন। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম রাজস্থান রয়্যালসের মধ্যে আইপিএল ২০২৫-এর ম্যাচে।
সুপার ওভারে রাজস্থান রয়্যালসের ইনিংস চলাকালীন, মিচেল স্টার্কের একটি ডেলিভারিকে ব্যাকফুট নো-বল ঘোষণা করেন তৃতীয় আম্পায়ার রোহন পান্ডিত। বিষয়টি নিয়ে ধারাভাষ্যকার হিসেবে বক্সে থাকা সাইমন ডুল আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন এবং বলেন, ‘আমি মনে করি না এটা নো-বল। আপনি লাইন ছুঁতে পারেন। শুধুমাত্র যখন পা লাইন কেটে যায় এবং তার কিছু অংশ লাইন ছাড়িয়ে যায়, তখনই সেটা নো-বল হয়।’
কিন্তু কয়েক বল পরেই, তাঁকে আইপিএলের প্লেয়িং কন্ডিশনের নিয়ম জানানো হয়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে নিজের ভুল স্বীকার করে বলেন, ‘আসলে আম্পায়াররা সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। যদি ব্যাকফুট রিটার্ন ক্রিজ ছুঁয়ে যায়, তাও সেটা নো-বল হয়। আমি দুঃখিত, আম্পায়ারদের কাছে ক্ষমা চাইছি।’
আরও পড়ুন … সুপার ওভারে কেন রিয়ান-হেতমায়ের? যশস্বী নয় কেন? দ্রাবিড়ের RR-এর কৌশল নিয়ে DC-র প্রশ্ন
তাহলে ব্যাকফুট নো-বলের নিয়ম কী?
MCC-এর নিয়ম 21.5.1 অনুযায়ী: ‘পা কোথায় রাখা হয়েছে তার উপর বিচার করে একটি ডেলিভারি ন্যায্য বলা হয়। ডেলিভারি স্ট্রাইডে, বোলারের ব্যাকফুট অবশ্যই তার নির্ধারিত ডেলিভারি মোডের সঙ্গে সম্পর্কিত রিটার্ন ক্রিজে স্পর্শ করবে না।’
অর্থাৎ, বল করার সময় বোলারের ব্যাকফুট যদি রিটার্ন ক্রিজ ছুঁয়ে যায়, তবে সেটা নিষিদ্ধ ডেলিভারি বা নো-বল হিসেবে গণ্য হবে। রিপ্লে-তে দেখা যায়, স্টার্কের বাঁ পা রিটার্ন ক্রিজ ছুঁয়ে গিয়েছিল, ফলে সঠিকভাবেই সেটি নো-বল ধরা হয়।
আরও পড়ুন … ভারতীয় দলে বড় পরিবর্তন! BCCI-র বড় পদক্ষেপ, IPL 2025-এর মাঝেই চাকরি গেল কোচ সহ তিনজনের- রিপোর্ট
তবে এই নো-বল দিল্লি ক্যাপিটালসের জন্য কোনও সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি। রাজস্থানের রিয়ান পরাগ ও যশস্বী জসওয়াল শেষ দুই বলে আউট হয়ে যান এবং দল মাত্র ১১ রান তুলেই অলআউট হয়ে যায় সুপার ওভারে।
এরপর দিল্লির ব্যাটার কেএল রাহুল ও ত্রিস্তান স্টাবস রাজস্থানের সন্দীপ শর্মার ওভারে প্রথম তিন বলেই দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে দিল্লিকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। ম্যাচের মূল ইনিংসেও স্টার্ক দুর্দান্ত বল করেন। তিনি ১৮তম ওভারে নীতীশ রানাকে আউট করেন এবং মাত্র ৮ রান দেন। রাজস্থানের জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৯ রান, কিন্তু স্টার্ক কেবল সিঙ্গেল-ডাবলেই আটকে দেন ব্যাটারদের। শেষ বলে রান আউট হয়ে ম্যাচ টাই হয় এবং খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।
আরও পড়ুন … রাজস্থানের বিরুদ্ধে জয়, কাকে কৃতিত্ব দিলেন DC ক্যাপ্টেন অক্ষর প্যাটেল?
এই জয়ের ফলে অক্ষর প্যাটেলের নেতৃত্বাধীন দিল্লি আইপিএল ২০২৫-এর পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠে আসে, ৬ ম্যাচে ৫ জয় ও ১ হারে। অন্যদিকে, ২০০৮ সালের শেন ওয়ার্ন-নেতৃত্বাধীন জয়-এর পর থেকে আইপিএল ট্রফি জেতার আশায় থাকা রাজস্থান রয়্যালস এবারও হতাশাজনকভাবে ৭ ম্যাচে ৫টিতেই হেরে আট নম্বরে নেমে গিয়েছে।