বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুরন্ত শতরান করে নজর কেড়েছেন সঞ্জু স্যামসন। এখন তাঁর টার্গেট ভারতের হয়ে টেস্ট দলে সুযোগ করে নেওয়া। বিসিসিআই-এর নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যখন কোনও ক্রিকেটার জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন না তখন তাঁকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হবে, এটা বাধ্যতামূলক। সেই অনুযায়ী সঞ্জু স্যামসনকে শুক্রবার থেকে কেরালার হয়ে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলতে দেখা যাবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সঞ্জু বলেন, ‘দলীপ ট্রফির আগে লিডারশিপ গ্রুপ আমায় এক বার্তা দেয়, যেখানে তারা আমায় লাল বলের ক্রিকেট দলে সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করছে বলে জানান। আমায় রঞ্জি ট্রফিতে খেলার বিষয়েও তারা বলেন। দলীপ ট্রফির পারফরম্যান্স আমায় সাহায্য করেছে। তবে আমি মনে করি আমি ৩ ধরণের ফরম্যাটে খেলার জন্যই উপযুক্ত। আমি শুধু নিজেকে সাদা বলের ক্রিকেটে সীমাবদ্ধ করে রাখতে চাই না। আমার ইচ্ছা রয়েছে দেশের হয়ে টেস্ট খেলার। আমি এর আগেও রঞ্জি ট্রফিতে ভালো খেলেছি , আগামীতেও ভালো খেলার আশা রাখছি’।
স্যামসন এদিন স্পষ্ট করেন তিনি যেকোনও পজিশনে ব্যাট করার জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘আমার নিজের দক্ষতার উপর বিশ্বাস রয়েছে। আমি ১ থেকে ৬ নম্বরের মধ্যে যেকোনও জায়গায় ব্যাট করার জন্য প্রস্তুত। আমি যেকোনও জায়গায় ব্যাট করার জন্য নিজেকে তৈরি করেছি’। সঞ্জু স্বীকার করে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজে ব্যর্থ হওয়ার পর কিছুটা চাপে পড়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘এমনি যখন একটা ম্যাচে ব্যর্থ হবেন এবং পরের ম্যাচে ফের ব্যাট করতে নামবেন, তখন একটু চিন্তা হবেই। এমনকী কিংবদন্তি খেলোয়াড়রা পর্যন্ত এই বিষয়টি নিয়ে বলেন। আমিও পরপর দু’ম্যাচে শূন্যে রানে ফিরে যাওয়ার পর চাপ অনুভব করেছিলাম। যখন একদিকে চাপ ছিল, অন্যদিকে আমি জানতাম আমি টি-২০ ক্রিকেটে কী করতে পারি। আমার নিজের উপর বিশ্বাস ছিল’।
সঞ্জু নতুন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এবং কোচ গৌতম গম্ভীরের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘সূর্যকুমারের কমিউনিকেশন স্কিল অসাধারণ। সে খুব স্পষ্ট ভাষার মানুষ, ও সবাইকে সবার দায়িত্ব স্পষ্ট করে দেয়। ভারতীয় দলের সবাই খুব স্পষ্ট নিজের নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে। সূর্য সব ক্রিকেটারকে খুব সাপোর্ট করে থাকে। অধিনায়ক হিসেবে সে অনেক দায়িত্ব পালন করে থাকে। বাকি খেলোয়াড়রা তার বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে ভালো খেলার চেষ্টা করে’। গৌতম গম্ভীর প্রসঙ্গে স্যামসন বলেন, ‘গম্ভীর বলেন- সবসময় আমার সাপোর্ট তোমার সঙ্গে থাকবে। আমি জানি তুমি কেমন খেলোয়াড়, বহুবছর ধরে দেখছি। তুমি তোমার ব্যাটিং উপভোগ কর, আমরা সবসময় তোমার পাশে থাকব। একজন কোচের থেকে এমন আত্মবিশ্বাস পাওয়া ক্রিকেটারের জন্য বড় বিষয়’।