ভারতের তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি মঙ্গলবার দীর্ঘ ১২ বছর পর নিজের রাজ্য দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিলেন। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ৩০ জানুয়ারি দিল্লি দলের জার্সি গায়ে রঞ্জি ট্রফিতে ফিরতে চলেছেন। যেখানে দিল্লি দল তাদের শেষ গ্রুপ ম্যাচে রেলওয়েজের মুখোমুখি হবে। ৩৬ বছর বয়সি কোহলির এটি হবে প্রায় ১২ বছরেরও বেশি সময় পর রঞ্জি ট্রফিতে প্রত্যাবর্তন। তিনি শেষবার ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে রঞ্জি ট্রফিতে দিল্লির হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছিলেন।
তরুণরা ক্লান্ত হয়ে গেলেও অনুশীলন চালিয়ে যান বিরাট কোহলি-
কোহলি নিজের নামে রাখা স্ট্যান্ড থেকে বেরিয়ে আসেন এবং সতীর্থদের সঙ্গে ফুটবল ড্রিলে অংশ নেন। দিল্লি শিবিরে এটি ছিল একেবারে ব্যতিক্রমী একটা দৃশ্য। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মঙ্গলবারের অনুশীলন ছিল দিল্লি দলের জন্য সবচেয়ে দীর্ঘ প্রস্তুতি সেশন। যা তারা কোনও রঞ্জি ম্যাচের আগে করেনি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দিল্লির খেলোয়াড়রা দীর্ঘ অনুশীলনের পর ক্লান্ত হয়ে পড়লেও কোহলি ছিলেন স্বতঃস্ফূর্ত। তিনি মাঠের চারপাশে এক চক্কর দৌড়ে তারপর ড্রেসিং রুমে ফিরে যান।
দিল্লি জেলা ক্রিকেট সংস্থার এক কর্তা কী বললেন?
একজন ডিডিসিএ (দিল্লি জেলা ক্রিকেট সংস্থা) অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছেন যে, ‘দুই ঘণ্টা ত্রিশ মিনিটের এই অনুশীলন সেশন ছিল দিল্লির ছেলেদের জন্য সবচেয়ে দীর্ঘ প্রস্তুতি, যা তারা রঞ্জির ম্যাচের আগে করেছে। ক্লান্তিকর সেশনের পর বেশিরভাগ খেলোয়াড় অবসন্ন লাগছিল, তবে কোহলি ছিলেন চাঙ্গা। অনুশীলনের শেষে তিনি মাঠের একটি চক্কর দিয়ে বিদায় নেন।’
আরও পড়ুন… নিজের কিট ব্যাগ কাউকে বহন করতে দিলেন না বিরাট: পুরনো কোহলিকে খুঁজে পেলেন দিল্লি দলের ম্যানেজার
নেটে নিবিড় অনুশীলন
বিরাট কোহলি নেটে প্রায় এক ঘণ্টা সময় কাটান। শুরুতে তিনি থ্রো-ডাউন নেন এবং বারবার পুল শট অনুশীলন করতে থাকেন। যথেষ্ট নক করার পর, তিনি স্পিনারদের নেটে যান, যেখানে বাঁহাতি স্পিনার হর্ষ ত্যাগি ও সুমিত মাথুরের বলে ব্যাট করেন। কয়েকটি বল পিচে থেমে আসছিল, তবে স্পিনারদের বোলিংয়ে তেমন ধার ছিল না। এছাড়া তিনি নভদীপ সাইনি, মানি গ্রেওয়াল, রাহুল গেহলট ও সিদ্ধান্ত শর্মার পেস বোলিংয়ের সামনেও ব্যাট করেন।
আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: জসপ্রীত বুমরাহ তো বলিউড কিংবদন্তি দিলীপ কুমারের মতো: কেন এমন বললেন সঞ্জয় মঞ্জরেকর?
কোন কৌশল মাথায় রেখে অনুশীলন করছিলেন বিরাট কোহলি-
ভারতীয় দলের নেট সেশনের মতো এখানে বিরাট কোহলি খুব একটা সমস্যায় পড়েননি। যদিও তিনি অনেক বল ছেড়ে দেওয়ার অনুশীলন করেছেন। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কথা মাথায় রেখে তিনি ডেলিভারির লাইন বরাবর খেলার কৌশল অনুশীলন করছিলেন।