মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেছেন আগেই। তবে প্রথম থেকেই এর বিরোধিতায় সরব হয়েছিল বিজেপি। দলের অভিযোগ ছিল, এটি রাজনীতির ফায়দা তোলার জন্য সরকারি টাকার অপচয়। কিন্তু, বাস্তবে ছবি যেন উল্টোই! নথি বলছে, যাঁরা প্রকাশ্যে এই অনুদানের বিরোধিতা করছেন, তাঁদেরই নেতৃত্বে থাকা একাধিক পুজো কমিটি নির্দ্বিধায় সরকারি চেক নিচ্ছে, অর্থাৎ পুজোর অনুদান নিচ্ছে। তাই নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করা শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: পুজোর আগে কলকাতার বাজারে পৌঁছল পদ্মার ইলিশ, বঙ্গে এল আরও ৫০ টন মাছ
দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের ঘটনার পর এবার এমন একই চিত্র ধরা পড়ল হাওড়ায়। সেখানে অন্তত দুটি পুজো কমিটির শীর্ষে রয়েছেন বিজেপি নেতারা। তার মধ্যে এক ক্লাব ইতিমধ্যেই সরকারি অনুদানের টাকা নিয়েছে। আরেক ক্লাব স্পষ্ট জানিয়েছে, চেক এলে তারাও নেবে।
প্রথম ক্লাবটি হল হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডের ‘যুগ্ম ক্লাব কর্মীচক্র’। এই পুজো কমিটির সভাপতি বিজেপির রাজ্যস্তরের নেতা সঞ্জয় সিং। পুলিশ সূত্রে খবর, এ বছরও অন্যান্যবারের মতো এখানকার পুজো কমিটি ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার সরকারি অনুদান সংগ্রহ করেছে। যদিও সঞ্জয়বাবুর দাবি, তিনি নামেই সভাপতি। পুজোর কাজে সরাসরি যুক্ত নন। ক্লাবের দায়িত্ব অন্যরা দেখেন। টাকা নেওয়া হয়েছে কি না, সেটাও পরে খোঁজ নিয়ে বলতে পারবেন।
দ্বিতীয় ক্লাব হল দাশনগরের ‘আড়পাড়া এ পি জে ক্লাব’। এর আহ্বায়ক হলেন বিজেপির শিবপুর মণ্ডল যুব সভাপতি সন্দীপ মাল। এ বছর এই পুজো ২১ বছরে পা দিয়েছে। সরকারি চেক হাতে আসা মাত্র অনুদান গ্রহণ করবেন বলেই স্পষ্ট জানান সন্দীপবাবু। তাঁর বক্তব্য, এটা ব্যক্তিগত কারও টাকা নয়, জনগণের টাকা। দুর্গাপুজোর জন্য যদি সরকার দেয়, তবে কেন নেব না? অর্থাৎ একদিকে অনুদানকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বলে তৃণমূলকে আক্রমণ, অন্যদিকে সেই অনুদান গ্রহণে কোনও দ্বিধা নেই বিজেপি নেতাদের ক্লাবগুলির। আর তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। এ নিয়ে বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করছে তৃণমূল কংগ্রেস।