বিশ্বকর্মা পুজোর রাতে বাড়ি থেকে ডেকে এনে বেধড়ক মারধর, আর তার ফলে মৃত্যু হল এক বিজেপি কর্মীর। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। পরিবারের অভিযোগে ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল সমর্থিত দুষ্কৃতীরা জড়িত। যদিও অভিযুক্তরা এখনও অধরা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নবদ্বীপে। মৃতের নাম সঞ্জয় ভৌমিক (৩৫)।
আরও পড়ুন: রামপুরহাট কাণ্ডে জনতার রোষে প্রধান শিক্ষক, বাইরে বের করে মারধর করার অভিযোগ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জয় নবদ্বীপ পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। পরিবারের দাবি, পুজোর রাতেই এলাকায় ঘটে যাওয়া অশান্তির সময় তিনি বাধা দিতে গেলে স্থানীয় কিছু যুবকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে মদ্যপ অবস্থায় কয়েকজন তাঁর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে জোর করে বাহিরে নিয়ে আসে এবং মুখে, বুকে, পেটে লাথি-ঘুষি মারে। চলে বেধড়ক মারধর। পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী, মারধরের পরে সঞ্জয়কে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও বাধা দেওয়া হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরদিন সন্ধ্যায় নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টাও করেন, কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার সময় মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের এক মহিলার অভিযোগ, হামলায় জড়িতদের মধ্যে রয়েছেন জয় রায়, তারক, নান্টু ও ঝন্টু। এছাড়াও, আরও অনেকে মদ্যপ অবস্থায় সঞ্জয়ের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। মৃতের পরিবার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
স্থানীয় বিজেপি নেতা ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন। এক স্থানীয় বিজেপি কর্মী বলেন, বিজেপি পরিবারের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাতে এসে মারছে। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে দেহ দাহ করা হবে না। অন্যদিকে, পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, এখানে দল-রাজনীতি না করে তদন্ত করাই উচিত। প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।