ট্যাংরার একটি বহুতল আবাসনে বুধবার গভীর রাতে তাণ্ডব। অভিযোগ, বহিরাগত কয়েকজন জোর করে ঢুকে পড়েন আবাসনের ভেতরে। চলে গালিগালাজ, দরজায় লাথি, আবর্জনার পাত্র উল্টে দেওয়ার মতো একের পর এক ভাঙচুরের ঘটনা। আতঙ্কে রাত জেগে কাটাতে হয় বাসিন্দাদের। শেষ পর্যন্ত ট্যাংরা থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হবে।
আরও পড়ুন: বিধানসভায় ভাঙচুরে দোষী, শাস্তি না দিয়ে ৪ BJP বিধায়ককে সতর্ক করলেন স্পিকার
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে একটি ফুটবল প্রতিযোগিতা চলছিল। অভিযোগ, খেলার মাঠের আলো ঘুরিয়ে আবাসনের ভেতরের দিকে ফেলে দেওয়া হচ্ছিল। এমনকি খেলার সুবিধার জন্য আবাসনের মূল গেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বুধবার রাত প্রায় ৩টে নাগাদ খেলা শেষ হলে বিষয়টির প্রতিবাদ করেন আবাসনের বাসিন্দারা। তখনই উত্তেজনা চরমে ওঠে। অভিযোগ, সেই সময়ই বহিরাগত কয়েকজন হঠাৎ আবাসনের ভেতরে ঢুকে পড়ে। তাঁরা গালিগালাজ করতে থাকেন এবং কলিং বেল বাজিয়ে দৌড়ে বেড়ান। অনেক বাসিন্দার দরজায় লাথি মারা হয়। এমনকি আবর্জনার ডাস্টবিন উল্টে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আবাসনের মহিলারা ও শিশুরা।
বৃহস্পতিবার সকালে বাসিন্দারা বৈঠক ডেকে থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। একইসঙ্গে ক্রিস্টোফার রোডে মানববন্ধন করে প্রতিবাদও জানান তাঁরা। অভিযোগ, সেখানেও কয়েকজন বহিরাগত এসে তাঁদের উপর চড়াও হয়। এতে আহত হন অন্তত দুই বাসিন্দা। আবাসনের পক্ষ থেকে পার্শ্ববর্তী বস্তির কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে, স্থানীয় কিছু যুবক দাবি করেছেন, আবাসন থেকেই মাঠে আবর্জনা ফেলে খেলা বানচাল করার চেষ্টা হচ্ছিল। আর সেখান থেকেই সংঘাতের সূত্রপাত।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে পুলিশ তদন্তে নেমেছে। ডিসি (পূর্ব শহরতলি) গৌরব লাল জানান, ট্যাংরা থানার পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। ট্যাংরার এই বহুতল আবাসনে হঠাৎ বহিরাগত তাণ্ডব ঘিরে এখন এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে বাসিন্দারা পুলিশের কড়া পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন।