রানি বিড়লা গার্লস কলেজ নিয়ে টানাপড়েনে বড় আইনি ধাক্কা খেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতৃবধূ তথা তৃণমূল কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর এবং কলেজের পরিচালন সমিতির কয়েক সদস্যের দাখিল করা আবেদন খারিজ করে দেয়। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে তারা কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।
আরও পড়ুন: এসএসকেমে উদ্বোধন হল নয়া ভবনের, থাকছে প্রাইভেট কেবিন, আরও অনেক সুবিধা
এর আগে বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের সিঙ্গল বেঞ্চ কাজরীর জারি করা শোকজ নোটিস এবং অধ্যক্ষা শ্রাবন্তী ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। গত ৩ জুলাইয়ের শোকজ় নোটিস এবং ২৯ অগস্টের সাসপেনশনের নির্দেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত থাকে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গেই আদালত কলেজের পরিচালন সমিতির সভানেত্রী হিসেবে কাজরীর নিয়োগের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে। এই রায়ের বিরুদ্ধেই কাজরী ও সমিতির কয়েক সদস্য ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের সেই আবেদন খারিজ হয়।
অন্যদিকে, হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ পাওয়ার পর অধ্যক্ষা শ্রাবন্তী ভট্টাচার্য দীর্ঘ বিরতির পর কলেজে ফেরেন বৃহস্পতিবার। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, তাঁকে কলেজে ঢুকতে বাধা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। শেষমেশ পুলিশের সহযোগিতায় শ্রাবন্তী কলেজে প্রবেশ করে দায়িত্বভার সামলান। অধ্যক্ষ শ্রাবন্তী ভট্টাচার্যের অভিযোগ, রাজ্য সরকার প্রস্তাবিত পরিচালন সমিতির সভানেত্রী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সদস্য মানস কবি কলেজের দৈনন্দিন কাজে নিয়ম-বহির্ভূত হস্তক্ষেপ করছেন। তাঁর বক্তব্য, সেই ক্ষমতাবলে কাজরী তাঁকে অবৈধভাবে সাসপেন্ড করতে চেয়েছিলেন। হাই কোর্ট অবশ্য পরিষ্কার জানিয়েছে, পরিচালন সমিতির সভানেত্রী হিসেবে কাজরীর যে কোনও পদক্ষেপ আপাতত কার্যকর হবে না।