দিনের আলোয় যেখানে ছাত্রছাত্রীদের পাঠশালা, রাত নামতেই সেখানেই নাকি বসত অশ্লীল আসর! সরকারি স্কুল চত্বরে মধুচক্র চলার অভিযোগ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। ঘটনাস্থল বাদামাইল লক্ষ্মী প্রতাপ উচ্চ বিদ্যালয়। অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন বিদ্যালয়েরই নৈশ প্রহরী তথা অস্থায়ী কর্মী কানু দেবনাথ। ইতিমধ্যেই তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ২০ বছরে মধুচক্রের ফাঁদে পড়েছেন অন্তত ৪৮ জন বিধায়ক! মন্ত্রীর দাবিতে শোরগোল
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে এক মহিলা ও এক যুবককে স্কুল চত্বরে ঢুকতে দেখেন এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা। তখনই সন্দেহ তৈরি হয়। এরপর স্থানীয়রা স্কুলের সামনে জড়ো হলে যুবক পালিয়ে যায়। তবে মহিলাকে স্কুল প্রাঙ্গণ থেকেই বেরোতে দেখা যায়। মুহূর্তে চারপাশে শুরু হয় হৈচৈ। খবর ছড়াতেই অভিভাবক মহলে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এমন ঘটনা ঘটছে, এমন অভিযোগে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন স্কুল পরিচালনার উপর।
বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল খোলার পর স্থানীয়রা ঘটনাটি জানিয়ে দেন শিক্ষকদের। তৎক্ষণাৎ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু দেখা যায়, ক্যামেরা একেবারেই বন্ধ! তখনই জল্পনা আরও বেড়ে যায়, ইচ্ছাকৃতভাবেই কি ক্যামেরা বন্ধ রাখা হয়েছিল? এই ঘটনার পরই জরুরি বৈঠক ডেকে নৈশ প্রহরীকে সাময়িক সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার লাহিড়ী। তিনি জানান, তদন্তে দোষ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হবে।
তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কানু দেবনাথ। তাঁর দাবি, ওই মহিলা স্কুলের পাশেই থাকেন। ভেতর দিয়ে গেলে বাড়ি পৌঁছতে সুবিধে হবে বলেই ঢুকতে দিয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয়দের অনেকেই সেই ব্যাখ্যা মানতে রাজি নন। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই রাতের বেলায় স্কুল চত্বরে গোপন কারবার চলত। ফলে সরকারি স্কুলের সুরক্ষা ও পরিবেশ নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নয়, নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন স্থানীয়রা। অভিভাবকরা তদন্ত ও কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন।