দীর্ঘ এক দশকের খরা কাটিয়েও উচ্ছ্বাসে মাতার সুযোগ পেল না আরসিবি। বরং ওয়াংখেড়ের শাপমুক্তির পরেই বিসিসিআইয়ের চোখ রাঙানির মুখে পড়তে হল বেঙ্গালুরুকে। এমনকি শাস্তি পেতে হল আরসিবি দলনায়ক রজত পতিদারকে।
সোমবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আইপিএল ২০২৫-এর রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে পরাজিত করে বেঙ্গালুরু। হাই-স্কোরিং ম্যাচে ১২ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে জয় তুলে নেয় তারা। দীর্ঘ ১০ বছর পরে ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে দেয় আরসিবি। তবে এই ম্যাচেই আইপিএলের আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে পড়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
আসলে সোমবার ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ে ২০ ওভারের বোলিং কোটা শেষ করতে পারেনি আরসিবি। ফলে স্লো ওভার-রেটের দায়ে পড়ে তারা। যে কারণে শাস্তি হয় আরসিবি দলনায়ক রজত পতিদারের। যেহেতু আইপিএলের চলতি মরশুমে এটি বেঙ্গালুরুর প্রথম ওভার রেট বজায় রাখতে না পারার অপরাধ, তাই ক্যাপ্টেনকে নূন্যতম জরিমানা করেই ছেড়ে দেওয়া হয় এযাত্রায়।
মোটা জরিমানা রজত পতিদারের
চলতি মরশুমে আরসিবির প্রথমবার আইপিএলের আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য ২.২২ ধারা অনুযায়ী রজত পতিদারকে ভারতীয় মুদ্রায় ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পার পেয়ে গিয়েছেন দলের বাকি ক্রিকেটাররা। যদিও ফের এমন ভুল করলে ক্যাপ্টেনের সঙ্গে মাশুল গুনতে হবে প্রথম একাদশের বাদি খেলোয়াড়দেরও। এমনকি শাস্তি হবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারেরও।
মরশুমে প্রথমবার নূন্যতম ওভার-রেট সংক্রান্ত অপরাধের দায়ে পড়লে সংশ্লিষ্ট দলের কেবল অধিনায়কের ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। দ্বিতীয়বার একই দোষ করলে সংশ্লিষ্ট দলের ক্যাপ্টেন-সহ সব ক্রিকেটারের শাস্তি হয়। প্রথম একাদশ ছাড়াও সেই দলের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারকেও জরিমানা করা হয়। ক্যাপ্টেনের জরিমানার অঙ্ক ডাবল হয়ে যায়। অর্থাৎ, ক্যাপ্টেনকে সেক্ষেত্রে ভারতীয় মুদ্রায় ২৪ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হয়। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার-সহ দলের বাকি সব ক্রিকেটারকে ৬ লক্ষ টাকা করে অথবা তাদের ম্যাচ ফি-র ২৫ শতাংশ অর্থ, যেটার পরিমাণ কম, সেই পরিমাণ অর্থ জরিমানা করা হয়।