স্লগ ওভারে বড় হিটের জন্য সব দলই সেট ব্যাটারের উপর নির্ভর করে। বিশেষ করে রান তাড়া করার সময় ক্রিজে সেট ব্যাটার থাকলে তুলনায় নিশ্চিত দেখায় টিম ম্যানেজমেন্টকে। তবে শুক্রবার একানায় ঠিক উল্টো পথে হাঁটে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
শুক্রবার একানা স্টেডিয়ামে লখনউয়ের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য যখন ৭ বলে ২৪ রান দরকার ছিল মুম্বইয়ের, হার্দিকরা ক্রিজের সেট ব্যাটার তিলক বর্মাকে রিটায়ার্ড আউট ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর বদলে ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন মিচেল স্যান্টনার। টিম ম্যানেজমেন্টের এই সিদ্ধান্তে যে সূর্যকুমার যাদবের মতো সিনিয়র তারকা খুশি ছিলেন না, সেটা বোঝা যায় ডাগ-আউটে তাঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখেই।
কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে তিলককে ডেকে নেওয়ার পরে বিস্ময় প্রকাশ করেন সূর্য। জয়াবর্ধনে তৎক্ষণাৎ সূর্যকুমারের কাছে গিয়ে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেন। মুম্বই ম্যাচ জিতলে সম্ভবত টিম ম্যানেজমেন্টের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশেষ আলোচনা হতো না। অথবা জয়াবর্ধনেদের এমন সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে ধন্য ধন্য রব উঠতে পারত। তবে মুম্বই শেষমেশ ম্যাচ হেরে বসায় সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় মুম্বই টিম ম্যানেজমেন্টকে।
তিলকের মতো নির্ভরযোগ্য ব্যাটারকে বসিয়ে মুম্বই কোন যুক্তিতে একজন আধা ব্যাটার মিচেল স্যান্টনারকে মাঠে নামাল, সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরাও। ম্যাচের শেষে স্বাভাবিকভাবেই এই বিষয়ে কৈফিয়ৎ দিতে হয় মুম্বই কোচকে। জয়াবর্ধনের গলায় এক্ষেত্রে হার্দিক কথার প্রতিধ্বনি শোনা যায়।
তিলককে কেন তুলে নেয় মুম্বই?
ম্যাচের শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হার্দিক পান্ডিয়া জানান যে, তিলক মারতে পারছিল না বলেই তাঁকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে জয়াবর্ধনের কাছেও তিলককে তুলে নেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়। জবাবে মাহেলা জানান যে, তিলক বেশ কিছুক্ষণ ক্রিজে ছিলেন। তাই দল আশা করছিস ওঁ বড় শট নেবে। সেটা পারছেন না দেখেই তরতাজা কাউকে ক্রিজে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বই।
জয়াবর্ধনে বলেন, ‘তিলক ভালো ব্যাট করছিল। যখন আমরা উইকেট হারাই, সূর্যর সঙ্গে ভালো পার্টনারশিপ গড়ে। ও লড়াই চালিয়ে যেতে চাইছিল তবে পারছিল না। ও বেশ কিছুক্ষণ ক্রিজে কাটিয়েছে। তাই ওর বড় শট নিতে পারা উচিত ছিল। শেষ মুহূর্তে আমার মনে হয় যে, ওকে মুশকিলে দেখাচ্ছে তাই ফ্রেশ কাউকে পাঠানো দরকার। ক্রিকেটে এমনটা হয়েই থাকে। ওকে তুলে নেওয়া দৃষ্টিকটু ছিল সন্দেহ নেই। তবে ওই মুহূর্তে কৌশলগত দিক দিয়ে এই সিদ্ধান্তটা নিতে হয়েছিল আমাকে।’