Indian Premier League (IPL) র অন্যতম সফল দল মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। এই দলকে তিনি পাঁচবার আইপিএল ট্রফি জিতিয়েছেন। বরাবরই চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামকে সিএসকের দূর্গ হিসেবেই দেখা হয়। সেই চিপকের মাঠই এখন যেন হয়ে উঠেছে সিএসকের ভয়ের কারণ। এবারের আইপিএলে তিন ম্যাচেই চিপকের মাঠে জয় অধরা ধোনিদের।
এবারের আইপিএলে পরপর ম্যাচ হারের জেরে চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক বদল হয়ে গেছে। রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের চোটের কারণে গোটা আইপিএল থেকে ছিটকে গেছেন। আর মহেন্দ্র সিং ধোনি চেন্নাইয়ের অধিনায়ক পদে ফিরেই দলকে অবশেষে জয়ের মুখ দেখিয়েছেন, অবশ্য অধিনায়ক হিসেবে প্রত্যাবর্তনে তিনিও একটি ম্যাচ হারেন।
কিন্তু গত ম্যাচে মাহির মাস্টারক্লাস ব্যাটিংয়েই পটপরিবর্তন হয়ে গেছে। আবারও চেন্নাইয়ের ভক্তরা আইপিএল ২০২৫ -র প্লে অফ খেলার স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছে। গত ম্যাচটি ছিল লখনউ সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে অ্যওয়ে ম্যাচ। সেখানে গিয়ে জেতার পর অবশেষে মহেন্দ্র সিং ধোনিও পিচ বিতর্কের মাঝে জড়িয়ে পড়েছেন, অবশ্য তিনি পিচ নিয়ে কোনও সংঘাতে যাননি।
এবারের আইপিএলের হট কেক হয়ে দাঁড়িয়েছে পিচ। জাহির খান থেকে আজিঙ্কা রাহানে, স্টিফেন ফ্লেমিং। ম্যাচ হারের পর বারবারই কোচ, অধিনায়করা কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন পিচ কিউরেটরদের। অভিযোগ করেছেন হোম অ্যাডভান্টেজ না পাওয়ার। রাহানে তো সরাসরি সুজন মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেই দিয়েছেন, ইডেনের কিউরেটর ভালোই পাবলিসিটি পেয়ে গেছেন।
এরই মধ্যে মহেন্দ্র সিং ধোনি কিন্তু জানিয়ে দিলেন আর স্পিনিং ট্র্যাক তিনি আইপিএলে নিজেদের হোম গ্রাউন্ডে চান না। বলাই যায়, স্পিনিং ট্র্যাকে খেলতে গিয়ে নিজের দলের ব্যাটারদের যা শিক্ষা হয়েছে এবং তাতে ধোনির দলের যা ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করতে গেলে আপাতত স্পোর্টিং উইকেটই ভরসা হতে চলেছে চিপকের এই ফ্র্যাঞ্চাইজির।
লখনউ সুপার জায়ান্টকে হারানোর পরই ধোনি বলেন, ‘এমন উইকেট আমাদের দিতে হবে, যেখানে দলের ব্যাটাররা একটু শট খেলতে পারবে, মানে শট খেলতে সাহস পাবে। গুটিয়ে থাকতে হবে না। চেন্নাইয়ের পিচ খুবই মন্থর, তুলনায় অ্যাওয়ে ম্যাচে ভালো পিচ পাচ্ছি বলে ব্যাটাররা আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে ভালো শট খেলার। এখানকার থেকে যাতে আরেকটু ভালো পিচ আমরা পাই ’।
প্রসঙ্গত ধোনির এই বক্তব্যকে অধিকাংশ মানুষ সঠিক হিসেবে ধরলেও একাংশের মতে, রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের অধিনায়ক থাকাকালীনও পিচে বদল আনা উচিত ছিল। এদিকে গত ম্যাচে ধোনি নিজের ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন করে জেমি ওভার্টনের আগে এসেছিলেন। আর তিনিই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জেতান, যা দেখেও একাংশ বলছে যদি রুতুরাজের অধিনায়কত্বের সময়ও ধোনি কয়েকটা ম্যাচে এরকমভাবে টপ অর্ডারে ব্যাটিং করতেন, তাহলে সিএসকে আজ পয়েন্ট তালিকায় দশম স্থানে থাকত না।