ব্যাট হাতে ভারতীয় দলের ভালো পারফরমেন্সের পরও লিডসে টেস্ট ম্যাচ হেরেছে টিম ইন্ডিয়া। এর পিছনে তিনটি মুল কারণ রয়েছে। প্রথমত জঘন্য ফিল্ডিং। দ্বিতীয়ত লোয়ার অর্ডারের খারাপ ব্যাটিং। আর তৃতীয় ভারতীয় দলের বোলারদের জঘন্য বোলিং, একমাত্র জসপ্রীত বুমরাহ বাদে। সঙ্গে শুভমন গিলের ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও প্রথম ম্যাচ হওয়ায় তাঁকে হয়ত দোষারোপ করা উচিত নয়, কারণ তাঁরও মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে।
যশস্বী জসওয়াল, লোকেশ রাহুল, শুভমন গিলের শতরানের পাশাশাপাশি ঋষভ পন্ত ম্যাচে জোড়া শতরান করেন দুই ইনিংসেই। কিন্তু তবুও ৮৪ বল বাকি থাকতেই পঞ্চম দিনে এসে ৩৭১ রান তাড়া করে হেডিংলে টেস্ট জিতে নেন ইংল্যান্ড। একদিনে ৩৫০র ওপর রান তুলেছে ইংল্যান্ড, তাও আবার টেস্টের শেষ দিনে এসে। এই পরিসংখ্যানেই বোঝা যায় ভারতীয় দলের বোলাররা ঠিক কতটা ব্যর্থ হয়েছেন।
যদিও ভারতীয় দলের হারের মস্ত বড়় কারণ খারাপ ফিল্ডিং। বোলিং খারাপ হলেও অন্তত কৃষ্ণা, শার্দুল একটা আধটা উইকেট নিচ্ছিলেন। তবে ক্যাচ মিস করে ইংল্যান্ডের হাতে ম্যাচ তুলে দিয়েছেন ভারতীয় দলের ফিল্ডাররা। প্রথম ইনিংসেই ডাকেট, পোপদের ক্যাচ মিস হয়। পোপ শতরান করেন, ডাকেট হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও ডাকেটের ক্যাচ মিস হয়, তিনি শতরান করেন। একা যশস্বী জসওয়ালই চারটি ক্যাচ মিস করেছিলেন, যার জেরে খেলার মোড় কার্যত ঘুরে যায়।
প্রথম ইনিংসে ওলি পোপ, বেন ডাকেট এবং হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ ছাড়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ফের ডাকেটের ক্যাচ মিস করেন যশস্বী, যখন ইংরেজ ব্যাটার ৯৭ রানে খেলছিলেন। যশস্বীর এই ক্যাচ মিসের বহর দেখেই এর আসল কারণ জানালেন ভারতীয় দলের এক সময়ের শ্রেষ্ঠ ফিল্ডার মহম্মদ কাইফ। ২০০০-র দশকের শুরুর দিকে ভারতীয় ফিল্ডারদের মধ্য সব থেকে বিশ্বস্ত হাত ছিল কাইফের।
ইংল্যান্ডে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফিতে তাঁর ইনিংস আজও সকলের মনে রয়েছে। সেই কাইফই যশস্বীর বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণ জানাতে গিয়ে বললেন, ‘যশস্বী কেন ক্যাচ মিস করছে? আমরা যখন ডিউকের বলে প্র্যাকটিস করি, তখন চোট পেলে পাতে স্ট্যাপ লাগাই। সেই সময়, আঙ্গুলগুলো আটকে থাকায়, মুভমেন্ট করা যায় না। স্ট্যাপে যেহেতু স্পঞ্জ থাকে, তাই ক্যাচ ধরা যায় না। বল স্পঞ্জে লেগে বাউন্স হয়ে যায়, এটাই ক্যাচ মিসের কারণ। বলের সঙ্গে হাতের যে সাধারণ কানেকশন সেটা ব্যাহত করা উচিত নয় ’।