আম আদমি পার্টির জম্মু ও কাশ্মীর ইউনিটের প্রধান এবং ডোডার বিধায়ক মেহরাজ মালিককে সোমবার কঠোর জননিরাপত্তা আইনে (পিএসএ) গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। ডোডা জেলার সরকারি কর্মচারীরা মালিকের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। এরপরই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। (আরও পড়ুন: কুকথা থামছেই না, এবার ভারতকে 'ভ্যাম্পায়ার' বললেন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ হোয়াইট উপদেষ্টা!)
আরও পড়ুন: গভীর রাতে নাটকীয় মোড় নেপালে, ১৯ জনের প্রাণ যাওয়ার পরে পিছু হটল ওলির সরকার
বিক্ষোভকারী সরকারি কর্মীরা অভিযোগ করেছিলেন যে বিধায়ক ডোডার ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) হরবিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে টার্গেট করেছেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এই পদক্ষেপকে গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ বলে অভিহিত করে রাজনৈতিক দলগুলি এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছে।
সূত্রের খবর, এই প্রথম কোনও বিধায়ককে পিএসএ-র অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। পিএসএ একটি প্রশাসনিক আইন যা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই দুই বছর পর্যন্ত আটকের অনুমতি দেয়। মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, মালিক জননিরাপত্তার জন্য হুমকি নন এবং তাঁর উপর এই আইন চাপিয়ে দেওয়া ভুল। (আরও পড়ুন: ভোট দেবে না ৩ দল, আজ কে হবেন নতুন উপরাষ্ট্রপতি? কী বলছে অঙ্ক?)
এদিকে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩৭ বছর বয়সি আপ বিধায়ককে ডাক বাংলোতে আটক করেছিল পুলিশ। তখন তিনি তাঁর এলাকার বন্যা কবলিত অঞ্চল পরিদর্শন করার পরিকল্পনা করছিলেন। এরপরে ডোডার ডেপুটি কমিশনার হরবিন্দর সিংয়ের নির্দেশে মালিকের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দায়ের করে পিএসএ-র অধীনে। পরে তাঁকে ভাদেরওয়াহ জেলা কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়। (আরও পড়ুন: মুনিরের হুমকি পূর্ব ভারত নিয়ে, এরই মাঝে ফোর্ট উইলিয়ামে আসছেন মোদী)
প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে মানহানিকর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিলেন মালিক। যার জেরে সরকারি কর্মচারীরা জেলা প্রশাসকের সমর্থনে এবং মালিকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারী সরকারি কর্মচারীরা অভিযোগ করেছেন যে আপ বিধায়ক প্রায়শই ডাক্তার সহ সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন এবং তরুণদের সরকারি যন্ত্রপাতির বিরুদ্ধে উস্কানি দেন। (আরও পড়ুন: গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তির মেয়াদ আর কয়েক মাসে, তার আগে বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ)
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত এক বছরে মালিকের বিরুদ্ধে তাঁর 'অভদ্র' আচরণ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মারামারির কারণে কয়েক ডজন মামলা ও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই আবহে আপ নেতার বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীকেও পিএসএ-র অধীনে আটক করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য স্পর্শকাতর এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বিরোধী দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) এবং পিপলস কনফারেন্স পিএসএ-র অধীনে মালিকের গ্রেফতারির নিন্দা জানিয়েছে এবং এটিকে ভিন্নমত ও গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ বলে অভিহিত করেছে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে, মালিক ডোডা বিধানসভা কেন্দ্রে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীকে ৪৫৩৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন। এর আগে মালিক ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর ডোডা জেলার কাহরা নির্বাচনী এলাকা থেকে জেলা উন্নয়ন কাউন্সিল নির্বাচনে জিতেছিলেন।