অধিনায়কত্ব পাওয়ার পরই নিজেকে স্মার্ট দেখাতে গিয়ে এমন ওভারস্মার্টের কাজ করে বসলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জিতেশ শর্মা, যে তিনিই সানরাইজার্সের বিপক্ষে হারের পর সমর্থকদের রোষানলে পড়ে গেলেন। অবশ্য হওয়াটাই স্বাভাবিক। এবারের আইপিএলে তিনি করেছেন ১২ ম্যাচে ১৫২ রান। তাঁকেই অধিনায়কত্বের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল আরসিবি, সানরাইজার্স ম্যাচে। সেখানে ১৫ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলার পরই নিজেকে যেন বিরাট কোহলি ভেবে নিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। দলের হারের পর এমন যুক্তি দিলেন, যে পাল্টা নেটমাধ্যমে প্রবল কটাক্ষের মুখে পড়েছেন ওভারস্মার্ট হতে বসা এই ক্রিকেটার।
লখনউতে টস জিতে জিতেশ প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। সানরাইজার্স দল ব্যাট করতে নেমে আরসিবির বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে ২৩১ রান করে। ২৩২ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে বিরাট কোহলি এবং ফিল সল্ট দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে যান। ৭ ওভারে ৮০ রানের মাথায় বিরাট আউট হন ব্যক্তিগত ৪৩ রানে, আর ফিল সল্ট করেন ৩২ বলে ৬২ রান। মিডল অর্ডার ফ্লপ হতেই আরসিবি ম্যাচ হেরে যায়। সেই সঙ্গে তাঁরা টপ টু-এর দৌড়েও বড় ধাক্কা খায়। কারণ পঞ্জাব কিংস এবং গুজরাট টাইটান্স তাঁদের পরের ম্যাচ জিতলে আর আরসিবি কোয়ালিফায়ার ওয়ান খেলতে পারবে না। সেক্ষেত্রে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে এলিমিনেটর খেলতে হবে তাঁদের।
ম্যাচ হেরে অদ্ভূত সাফাই জিতেশ শর্মার
আরসিবির এই হারটা তাঁর দলের কাছে বেশ কঠিনই ছিল। কিন্তু এই ম্যাচের অধিনায়ক জিতেশ শর্মা ম্যাচ শেষে এমন একটা কথা বলে দিলেন, যে রেগে বোম হয়ে গেলেন সকলে। বলাই বাহুল্য, এক্ষেত্রে তাঁর যে পরিণতবোধের অভাব রয়েছে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। জিতেশ ম্যাচের পর বলেন, ‘আমরা আজকে একটু ঘেঁটে ফেলেছি। যে লড়াইটা দরকার ছিল, সেটা বোলাররা দেখাতে পারেনি। প্রথম ৬-৭ ওভারের পর আমরা লড়াইয়ে ছিলাম। আমরা স্লগ ওভারে ভালোই বোলিং করেছি। তবে কখনও কখনও ম্যাচ হারাটাও ভালো, আমি মনে করি ’।
দলের হারকে ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখলেন RCB অধিনায়ক
এরপর জিতেশ এক ধাপ এগিয়ে বলেন, ‘কখনও কখনও ম্যাচ হারাটা দলের জন্য ভালো দিক, কারণ কোথায় কোথায় শুধরে নেওয়ার জায়গা রয়েছে সেটা বোঝা যায়। যদি টানা জিততে থাকো, তাহলে দলের খামতির দিকগুলো টের পাওয়া যায় না। যেটা ভালো দিক সেটা হল সবাই নিজেদের মতো করে সেরাটা দিয়েছে। এই হারের পর আমরা সামনের দিকে তাকানোরই চেষ্টা করব ’।
জিতেশের মন্তব্যে বিরক্ত RCB ফ্যানরা
জিতেশের কখনও কখনও হারাটা ভালো, এই মন্তব্যটা আরসিবির সমর্থকরা একদমই মেনে নিতে পারেনি। কারণ হারেরও একটা সময় থাকে, ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ারও একটা সময় থাকে। যখন লিগের শেষ ৪টে বা ৫টা ম্যাচ বাকি, আর নকআউট প্রায় সামনে। তখন দলের হার যে অন্যরকম প্রভাবও ফেলতে পারে, সেটা বোধহয় জিতেশ না বুঝেই কথাটা বলেছেন। তাই তাঁর ওপর রেগে লাল সমর্থকরা। এমনকি আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো পর্যন্ত এই নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন।