সুপার ওভারে রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে আইপিএল পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে উঠে এল দিল্লি ক্যাপিটালস। গুজরাট টাইটান্স নেমে গেল দুই নম্বরে। হেরেও একই পজিশনে থাকল রাজস্থান রয়্যালস। আরআর-এর মতোই পয়েন্ট টেবলের আর কোনও দলের অবসস্থানের কোনও পরিবর্তন হল না।
আইপিএল ২০২৫-এর আপডেটেড পয়েন্ট টেবল:
১) দিল্লি ক্যাপিটালস- ৬ ম্যাচে ৫টি জয়, ১টি হার, ১০ পয়েন্ট (নেট রানরেট +০.৭৪৪)
২) গুজরাট টাইটান্স- ৬ ম্যাচে ৪টি জয়, ২টি হার, ৮ পয়েন্ট (নেট রানরেট +১.০৮১)
৩) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু- ৬ ম্যাচে ৪টি জয়, ২টি হার, ৮ পয়েন্ট (নেট রানরেট +০.৬৭২)
৪) পঞ্জাব কিংস- ৬ ম্যাচে ৪টি জয়, ২টি হার, ৮ পয়েন্ট (নেট রানরেট +০.১৭২)
৫) লখনউ সুপার জায়ান্টস- ৭ ম্যাচে ৪টি জয়, ৩টি হার, ৮ পয়েন্ট (নেট রানরেট +০.০৮৬)
৬) কলকাতা নাইট রাইডার্স- ৭ ম্যাচে ৩টি জয়, ৪টি হার, ৬ পয়েন্ট (নেট রানরেট +০.৫৪৭)
৭) মুম্বই ইন্ডিয়ান্স- ৬ ম্যাচে ২টি জয়, ৪টি হার, ৪ পয়েন্ট (নেট রানরেট +০.১০৪)
৮) রাজস্থান রয়্যালস- ৭ ম্যাচে ২টি জয়, ৫টি হার, ৪ পয়েন্ট (নেট রানরেট -০.৭১৪)
৯) সানরাইজার্স হায়দরাবাদ- ৬ ম্যাচে ২টি জয়, ৪টি হার, ৪ পয়েন্ট (নেট রানরেট -১.২৪৫)
১০) চেন্নাই সুপার কিংস- ৭ ম্যাচে ২টি জয়, ৫টি হার, ৪ পয়েন্ট (নেট রানরেট -১.২৭৬)
সুপার ওভারে নাটকীয় জয় দিল্লির
এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল দিল্লি। শুরুটা তারা খারাপ করেনি। প্রথম দুই ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালসের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ৩৩ রান। দ্বিতীয় ওভারে তুষার দেশপান্ডেকে পিটিয়ে ২৩ রান নিয়েছিলেন অভিষেক পোড়েল। কিন্তু তৃতীয় ওভারে জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক (৯ রান) এবং চতুর্থ ওভারে করুণ নায়ারের (০ রান) উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। এর পর তাদের খেলার গতিও মন্থর হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত অভিষেক পোড়েলের ৩৭ বলে ৪৯, কেএল রাহুলের ৩২ বলে ৩৮, ত্রিস্তান স্টাবের ১৮ বলে অপরাজিত ৩৪ এবং অক্ষর প্যাটেলের ১৪ বলে ঝোড়ো ৩৪ রানের হাত ধরে দিল্লি নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৮ রান করে। রাজস্থানের হয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন জোফ্রা আর্চার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সফরে নাও যেতে পারেন কোহলি, বুমরাহ, বড় প্রশ্ন থাকছে রোহিতকে নিয়ে- রিপোর্ট
সেই রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থান শুরুটা খারাপ করেনি। কিন্তু ১৯ বলে ৩১ করে সঞ্জু স্যামসনের রিটায়ার্ড আউট হওয়াটাই রাজস্থানের জন্য বড় ধাক্কা হয়। তার পরেও অবশ্য যশস্বী জয়সওয়ার হাল ধরে রেখেছিলেন। তিনি ৩৭ বলে ৫১ করেন। চারে নেমে নীতিশ রানা ২৮ বলে ৫১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। কিন্তু এর পরেও জিততে পারেনি রাজস্থান রয়্যালস। চতুর্থ উইকেটে ধ্রুব জুরেল এবং শিমরন হেতমায়ের মিলে চেষ্টা করেছিলেন। শেষ ছয় বলে ৯ রান দরকার ছিল। কিন্তু মিচেল স্টার্ক এসে সব এলোমেলো করে দেন। শেষ ওভারে তিনি ৮ রান দেন। ম্যাচ টাই হয়ে যায়। রাজস্থানের ইনিংসের ২০তম ওভারের শেষ বলে যদি ধ্রুব জুরেল রান-আউট না হতেন, সেক্ষেত্রে জিতে যেত রাজস্থান। যাইহোক খেলা সুপার ওভারে গড়ালে, দিল্লির হয়ে সেই মিচেল স্টার্কই বল করেন। তিনি ২ উইকেটে ১১ রান দেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সেই রান চার বলেই করে ফেলে দিল্লি ক্যাপিটালসের কেএল রাহুল এবং ত্রিস্তান স্টাবস।