ক্রিকেট ভারতীয়দের আবেগে রয়েছে। তাই পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা লেগেই থাকে। আজ অর্থাৎ সোমবারই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিরাট কোহলি। গোটা দেশই বিরাটের এমন সিদ্ধান্তে হতাশ, সেটা স্বাভাবিকও। ভারতীয় সেনাদেরও মন খারাপ কোহলির এমন সিদ্ধান্তে। ভারত-পাকিস্তান অশান্তির আবহেও উঠে এল বিরাট কোহলির নাম।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করছিলেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর লেফটানান্ট জেনারেল রাজীব ঘাইসহ আরও তিন শীর্ষমর্যাদা সেনাকর্তা। সেখানেই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক কয়েকদিনের বিভিন্ন তথ্যই তুলে ধরছিল ভারতীয় সেনা। এরই মধ্যে ভারতের তরফে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, পাকিস্তানকে যদি ভারত মনে করে যে ধুলোয় মুছে সাফ করে দেবে, সেটা এক মূহূর্তের ব্য়াপার।
আর পাকিস্তান শেষ কয়েকদিনে বারবার নিজেদের স্বভাবসিদ্ধ ঢংয়েই বুঝিয়ে দিয়েছে যে তাঁরা মার খাবে কিন্তু তাও মারামারি ছাড়বে না। অর্থাৎ ভারতের হাতে জব্দ হওয়ার পরও তাঁরা অশান্তির পথ ছাড়বে না, আর মার খেয়েও তা স্বীকার করবে না। শেষ কিছুদিন ধরেই তাঁরা দাবি করে এসেছেন, যে ভারতে নাকি তাঁদের ড্রোন, জেট ঢুকে পড়েছে। ভারতের নাকি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে তাঁরা ফাঁকি দিয়েছে। যদিও বাস্তব অন্য কথাই বলছে।
ভারতীয় সেনা প্রমাণসহ বুঝিয়ে দিয়েছে, এদেশের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ভাঙার কাছাকাছিও আসতে পারেনি পাকিস্তান। এবার এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিয়েই পাকিস্তানকে নিশানা করে অ্যাসেজ সিরিজের উদাহরণ টানলেন ভারতীয় সেনার লেফটানান্ট জেনালেন রাজীব ঘাই।
থমশন-লিলির কথায় সেনার মুখে
তিনি বললেন, ‘আজ একটা উদাহরণ দিতে ইচ্ছে করছে, এই পরিস্থিতিতে। আজ হয়ত ক্রিকেটের উদাহরণ দেওয়া আমার উচিত নয়, কারণ আমরা জানি বিরাট কোহলি টেস্ট থেকে অবসর নিয়ে নিয়েছে, কিন্তু উদাহরণটা বলা দরকার। আমি যখন স্কুলে পড়ি, মানে ওই ৭০-র দশক নাগাদ, তখন ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার অ্যাসেজ সিরিজ খুবই জমজমাট ছিল। তখন অস্ট্রেলিয়ার দুই পেসার ছিল ডেনিস লিলি এবং জিওফ থমশন। ওরা ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডার পুরো ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে রেখে দিত ’।
এরপর তিনি আরও যোগ করেন, ‘সেই সময় অস্ট্রেলিয়ানরা এই দুই বোলারকে নিয়ে গর্ব করে বলত, অ্যাসেজ টু অ্যাসেজ, ডাস্ট টু ডাস্ট। ইফ থমো ডোন্ট গেট দেয়ার, দেন লিলি মাস্ট (অর্থাৎ অ্যাসেজে সমানে সমানে টক্কর হবে। যদি থমসন কোনোদিন ফর্মে না থাকে, উইকেট না পায়, তাহলে লিলি অবশ্যই উইকেট পাবে) ’।
অ্যাসেজের এই উদাহরণ টানার কারণ হিসেবে রাজীব ঘাই এরপর জানান, পাকিস্তান যতই জেট,ড্রোন বা কিছু পাঠাক না কেন, ভারতের যে ডিফেন্স সিস্টেম রয়েছে সেখানে একটা না একটা জায়গায় পাকিস্তানের পাঠানো সব কিছুই আটকে যাবে। অর্থাৎ ভারতের ডিফেন্স সিস্টেম এতটাই মজবুত।