বার্বাডোজ থেকে দীর্ঘ বিমানযাত্রা করে ভারতে ফিরেছেন। তারপর থেকে দৌড়ঝাঁপ চলছে। তবে রোহিত শর্মার যে ছিটেফোঁটা কষ্ট হচ্ছে না, তা ভারতীয় অধিনায়কের হাবভাব দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। বরং বিশ্বকাপ জয়ের পরে এই আনন্দের মুহূর্তটা পুরোপুরি উপভোগ করছেন। আজও সেই দৃশ্যটা ধরা পড়ল মহারাষ্ট্রের বিধান ভবনে। শুক্রবার রোহিত-সহ ভারতীয় বিশ্বকাপজয়ী দলের মহারাষ্ট্রের চার ক্রিকেটারকে সংবর্ধনা দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই অনুষ্ঠানেই সূর্যের সেই ঐতিহাসিক ক্যাচ নিয়ে মজা করেন রোহিত। প্রাণ খুলে হাসতে-হাসতে মারাঠিতে রোহিত বলেন, ‘সূর্য সবে বলল যে ওর হাতে বলটা ভাগ্যবশত আটকে গিয়েছে। যদি বলটা ওর হাতে না পড়ত (রোহিতের কথার আক্ষরিক বাংলা করলে দাঁড়াবে বসে যেত), তাহলে ওকে পরের ম্যাচে বসিয়ে দিতাম।’
ভারতীয় অধিনায়কের কথায় হেসে খুন দর্শকরা
রোহিতের কথার প্রথম অংশটা শুনেই হো-হো করে হাসতে থাকেন সকলে। আর ‘পাঞ্চলাইন’-টা শুনে হাসির আওয়াজটা আরও বেড়ে যায়। রোহিতও খুব উপভোগ করেন। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে আমায় বললেন যে বিধান ভবনে প্রথমবার এরকম অনুষ্ঠান হচ্ছে। ১৩ বছরের অপেক্ষার পরে ভারতে ফের বিশ্বকাপ নিয়ে আসার স্বপ্নপূরণ হল। এটা পুরোপুরি দলগত প্রচেষ্টা।’
সংবর্ধনা পেয়ে আপ্লুত স্কাইও
রোহিত যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে সেই কথা বলছিলেন, সেখানেই সূর্য, যশস্বী জয়সওয়াল এবং শিবম দুবেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ডেভিড মিলারের সেই ক্যাচ ধরে ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানোর রেশ ধরে স্কাই বলেন, ‘আপনাদের সকলের সঙ্গে দেখা করতে পেরে দারুণ লাগছে। গতকাল আমরা যেরকম সমর্থন পেয়েছি আর আজ বিধান ভবনে যেরকম সমর্থন পাচ্ছি, সেটা আমি কখনও ভুলতে পারব না।’
'ভারতের ইতিহাসে রোহিতের নাম খোদাই হয়ে গিয়েছে'
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস বলেন, ‘রোহিত শর্মা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ও আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলবে না। কিন্তু আমরা যখন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখবে, তখন ওর এবং ওর দলের বিশ্বকাপ জয়ের কথা স্মরণ করব আমরা।’
সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একইদিনে আমাদের ভালো খবর এবং বাজে খবর দিল রোহিত। ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতাল। আবার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে চিরকালের জন্য ওর নাম খোদাই হয়ে গিয়েছে।’