টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের খেলার স্টাইলটা পালটে ফেলেছিলেন। সাধারণত ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাটে তিনি যেরকম খেলতেন, সেই পথে না হেঁটে আক্রমণাত্মক স্টাইলে খেলার চেষ্টা করছিলেন। একাধিক ভালো শট মারলেও কয়েকটি বল খেলেই আউট হয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ফাইনালে ৩৪ রানে ভারতের তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে তাঁর কাছে নিজের আসল খেলায় ফিরে যাওয়া ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। যে খেলাটা তিনি এতদিন ধরে খেলে আসতেন। আর সেটাই তাঁর কাছে শাপে বর হয়ে দাঁড়িয়েছিল বলে জানালেন বিরাট কোহলি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলার সময় কিছুটা দার্শনিক হয়ে বিরাট জানান, বিশ্বকাপে যেন তাঁর ইগো বেড়ে গিয়েছিল। বলে মনে হয়েছিল যে তিনি সবকিছু করতে পারবেন। কিন্তু ফাইনালে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে খেলাটাকে সম্মান দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। আর ইগোকে দমিয়ে খেলাটাকে সম্মান দিতেই ক্রিকেটের দেবতা তাঁকে রানে ফিরিয়ে দেন বলে জানালেন বিরাট।
মোদী ও বিরাটের কথোপকথন, কী কথা হল দু'জনের?
মোদী: (বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে পর্যন্ত) তোমার মোট রান ছিল ৭৫ রান। আর ফাইনালে একেবারে ৭৬ রান করেছিলে। জীবনে এরকম এক-একটা মুহূর্ত আসে, যখন সবাই বলেন যে তুমিই করে নেবে। ওটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে। কিন্তু (যখন রানে ছিলে না), তখন পরিবার থেকে কী বলা হচ্ছিল?
বিরাট: ভালো ব্যাপার হল যে ভারতের সঙ্গে (আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ানল দ্বীপপুঞ্জের) সময়ের অনেকটা পার্থক্য ছিল। তো পরিবারের সঙ্গে বেশি কথা হয়নি আমার। আমার মা বেশি টেনশন করে ফেলে (হাসি)। আমি যা কিছু করার চেষ্টা করছিলাম, সেটা কাজে আসছিল না।
তো তখন আমার মনে হচ্ছিল যে যখন আপনার মনে হয় যে হ্যাঁ, আমি সবকিছু করতে পারব। তো কোথাও না কোথাও আমার অহংকার (ইগো) বেশি হয়ে গিয়েছিল। আর সেটা হলে খেলাটা আপনার থেকে দূরে চলে যায়। তো ওটা ঝেড়ে ফেলার দরকার ছিল।
আর (ফাইনালে) ম্যাচে এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল, আমি যে নিজের ইগোটাকে উপরে রেখে দেব, সেটার সুযোগই ছিল না। টিমের জন্য ইগোটা পিছনে রাখতেই হয়েছিল। যখন খেলাটার সম্মান করলাম, তখন খেলাটাও সেদিন আমায় সম্মান ফিরিয়ে দিল। এটাই আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছিল।
মোদী: অনেক অভিনন্দন।