এক মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকল যোগীরাজ্য। মোটরবাইকের পিছনে বসে ব্যক্তি ধরে রেখেছেন মহিলার নিথর দেহ, আর বাইক চালিয়ে যাচ্ছেন আরেকজন। অভিযোগ, শববাহী গাড়ি না পেয়ে বাধ্য হয়েই ওই মহিলার মৃতদেহ বাইকে নিয়েই শ্মশানের পথে রওনা দেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।আর এই অস্বস্তিকর ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
এনডিটিভি ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বী জেলার মহব্বতপুরে। সম্প্রতি জিতা গ্রামের বাসিন্দা বুদ্ধরাণীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ ময়নাতদন্ত করে ওই মহিলার মৃতদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরও করে দেয়।পুলিশ জানিয়েছে, নিয়ম মেনেই ওই মহলের ময়নাতদন্ত হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে। জানা গেছে, নিহত মহিলার স্বামী চাঙ্গুলাল এবং ছেলে ধর্মেন্দ্র গাজিয়াবাদে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। ওই মহিলার দেহ হাতে পাওয়ার পর শেষকৃত্যর প্রস্তুতি শুরু করে তার পরিবার। অভিযোগ, মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়নি প্রশাসনের তরফে। অগত্যা পরিবারের সদস্যরা বাইকে করেই ওই মহিলার মৃতদেহ নিয়ে শ্মশানের পথে রওনা দেন।
অন্যদিকে, এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। ভিডিওটি শেয়ার করে এক্স বার্তায় অখিলেশ যাদব বলেন, 'এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে? মুখ্যমন্ত্রী বা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে বলার মতো আর কিছুই নেই।' শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়াতেওঁ এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন নেটিজেনরা।
তবে এই ঘটনা দেশে প্রথম নয়। গত ৯ অগস্ট, রাখি বন্ধনের দিন ৩৫ বছরের অমিত যাদব স্ত্রী গয়ারসিকে নিয়ে মোটরবাইকে নাগপুরের লোনারা থেকে মধ্যপ্রদেশের করণপুর যাচ্ছিলেন। পথে, মোরফাটা এলাকার কাছে একটি দ্রুতগামী ট্রাক তাঁদের ধাক্কা মারে। ধাক্কার পর রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে যান গয়ারসি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ট্রাকটি থামেনি, বরং মহিলাকে চাপা দিয়ে সোজা চলে যায়।আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্ত্রীকে উদ্ধার করার জন্য অমিত রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে যান, পথচারীদের কাছে সাহায্য চান। কিন্তু অভিযোগ, কেউই থামেননি, কেউ সাহায্যও করেননি। শেষমেশ, স্ত্রীর নিথর দেহ মোটরবাইকের পেছনে বসিয়ে, নিজের সঙ্গে বেঁধে মধ্যপ্রদেশের গ্রাম সিওনি-র উদ্দেশে রওনা দেন।