মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শেষ হুঁশিয়ারির পর প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের উদ্দেশ্যে ‘মৃত্যুঘণ্টা’ বাজিয়ে দিল ইজরায়েল। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাটৎজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আজ এক ‘ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়’ গাজায় আঘাত হানবে এবং হামাসের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে দেবে। অন্যদিকে, মঙ্গলবার ইজরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা সিটির বাসিন্দাদের অন্য জায়গায় সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
একটি এক্সবার্তায় ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাটৎজ হুমকি দিয়ে বলেন, 'আজ গাজার আকাশে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানবে, আর সন্ত্রাসীদের মাথার ওপরের ছাদগুলো কেঁপে উঠবে। বন্দিদের মুক্তি দাও এবং অস্ত্র নামিয়ে রাখো নইলে গাজা ধ্বংস হবে এবং তোমরা নিশ্চিহ্ন হবে।' তিনি আরও বলেন, 'গাজা শহরে যে খুনে-ধর্ষণকারীরা ঘাপটি মেরে আছে এবং বিদেশের বিলাসবহুল হোটেলে লুকিয়ে আছে, সেই সব হামাস নেতাদের শেষবারের মতো বলা হচ্ছে অস্ত্র সমর্পণ করে ধরা দিতে। তা না হলে গাজা শহরটাই গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। আপনাদেরও কেউ নিস্তার পাবেন না।'
আরও খবর-বীভৎস! শববাহী গাড়ি মেলেনি, মহিলার দেহ বাইকে চাপিয়ে শ্মশানে রওনা পরিবারের
অন্যদিকে, গাজা শহরের বাসিন্দাদের অবিলম্বে অন্যত্র সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এক্স বার্তায় তিনি বলেন, 'আমি গাজার বাসিন্দাদের বলছি, আপনাদের সতর্ক করা হয়েছে, সেখান থেকে চলে যাও!' তিনি জানান যে গাজা সিটিতে আসন্ন অভিযান শুরু হওয়ার আগে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ৫০টি সন্ত্রাসী টাওয়ার ধ্বংস করে দিয়েছে।উল্লেখ্য, ট্রাম্পও রবিবার একটি বিবৃতিতে হামাসকে অন্তিম হুঁশিয়ারি দেন। গাজা থেকে পণবন্দিদের মুক্তির জন্য শান্তিচুক্তির ডাক দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ইজরায়েলিরা আমার শর্ত মেনে নিয়েছে। এখন হামাসেরও উচিত একটি রফা শর্তে আসা। আর হামাসরা যদি এই প্রস্তাব না মানে তাহলে তার চরম ফল ভোগ করতে হবে। মনে রাখবেন, এটাই আমার শেষ সতর্কবার্তা। এর পরে আর হুঁশিয়ারি নয়, কাজ করে দেখানো হবে।
আরও খবর-বীভৎস! শববাহী গাড়ি মেলেনি, মহিলার দেহ বাইকে চাপিয়ে শ্মশানে রওনা পরিবারের
এদিকে হামাসের শীর্ষ নেতা বাসেম নাইম জানিয়েছে, প্রতিরোধ ও অস্ত্র প্যালেস্টাইনি জনগণের ন্যায্য অধিকার, যা আন্তর্জাতিক আইন স্বীকৃত। ইতিহাসে দেখা গেছে, দখলকৃত জাতিগুলোর স্বাধীনতার লড়াইয়ে এই অধিকার কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। এই অধিকার (অস্ত্র) তখনই ত্যাগ করা যেতে পারে, যখন একটি স্বাধীন ও পূর্ণ সার্বভৌম প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে, যার রাজধানী হবে জেরুজালেম এবং যেখানে প্যালেস্টাইনি শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের নিশ্চয়তা থাকবে। তার আগে পর্যন্ত হামাস দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত। প্রসঙ্গত, এটাই প্রথম নয়, এরকম সতর্কতা ইজরায়েল এর আগেও দিয়েছিল। গত ২২ অগস্ট ইজরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী একই ভাষায় বলেছিলেন, 'আমাদের শর্ত না মানলে গাজা শহর ধ্বংস করে দেওয়া হবে।' তিনি বলেছিলেন, হামাসের জন্য নরকের সব দরজা খুলে দেওয়া হবে।