আবারও হাসপাতালে ভর্তি হতে হল ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলিকে। শনিবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত তাঁকে থানের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ সচিন তেন্ডুলকরের বন্ধু তথা প্রাক্তন ব্যাটিং পার্টনার। অতিরিক্ত মদ্যপানের জেরে তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়েছেন অনেকে।
সম্প্রতি তাঁদের প্রাক্তন কোচ প্রয়াত রমাকান্ত আচরেকরের মূর্তি উন্মোচনের দিন মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে উপস্থিত হয়েছিলেন বিনোদ কাম্বলি। সেখানে তাঁকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, শরীরে অবস্থা মোটেই ভালো নয়। মানসিক দিক থেকেও তিনি মোটেই ভালো জায়গায় নেই। এবার ফের একবার অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে হল তাঁকে।
আরও পড়ুন- নতুন বছরে বাগান সমর্থকদের উপহার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার! হায়দরাবাদ FC ম্যাচের টিকিট ফ্রি
এক সংবাদ সংস্থার তরফে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়েছে, এখনই পুরোপুরি সংকটমুক্ত নন ভারতীয় দলের এই প্রাক্তন ব্যাটার। যদিও তাঁর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে, সেইসব মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই বিশদে তার শারীরিক অবস্থার খুটিনাটি জানতে পারা যাবে।
আরও পড়ুন-ওয়ার্নারের স্লেজিংয়ে ভয় পাননি! উল্টে দ্বিগুন স্লেজিং করেন পূজারা! ফাঁস করলেন রহস্য…
কয়েক মাস আগেই ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে বিনোদ কাম্বলিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া কথা বলা হয়েছিল। সুনীল গাভাসকর থেকে কপিল দেব, সকলেই তাঁর পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসার কথা জানিয়েছিলেন। যদিও কপিল দেব তখনই জানিয়েছিলেন, তাঁরা বিনোদের পাশে দাঁড়াবেন, তবে এক্ষেত্রে তাঁকেও মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে এবং নিজের ভালো চাইতে হবে।
আরও পড়ুন- বুমরাহকে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য প্রাক্তন ইংরেজ তারকার? বাবা কলকাতার ছেলে ছিলেন!
এক মাস আগেই তাঁকে আরও একবার হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেই সময় তিনি মূত্রজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। জানিয়েছিলেন ছেলে,মেয়েরা তাঁকে শুশ্রুষা করার চেষ্টা করলেো তাঁর মাথায় ঘোরায় তিনি পড়ে গেছিলেন। এরপর চিকিৎসকরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেছিল। ২০১৩ সালে হার্টে অস্ত্রোপচারও হয় বিনোদ কাম্বলির, সেই সময় সচিন তেন্ডুলকর তাঁকে আর্থিক সাহায্য করেছিলেন।