ব্রিসবেনের গাব্বায় ভারতীয় ব্য়াটারদের বিপর্যস্ত অবস্থা দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে। কোনও মতে বৃষ্টি এসে ভারতীয় দলের সমস্যার কালো মেঘ কাটায়। নাহলে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটারদের যা অবস্থা ছিল, তাতে তাঁরা কতটা ভালো পারফরমেন্স দেখাতেন দ্বিতীয় ইনিংসে সেই নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ম্যাচে অবশ্য লোকেশ রাহুল এবং জাদেজা লড়াকু ইনিংস খেলে যান।
আরও পড়ুন-বুমরাহকে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য প্রাক্তন ইংরেজ তারকার? বাবা কলকাতার ছেলে ছিলেন!
ম্যাচ বাঁচানোর লড়াই শুরু করেছিলেন ওপেনার রাহুল, যিনি ৮৪ রান করেন। এরপর জাদেজাও চেষ্টা করেন, ৭৭ রান তোলেন তিনি একা। আর শেষদিকে টিম ইন্ডিয়ার সম্মানরক্ষা করেন বুমরাহ এবং আকাশদীপ, দুই পেসারই ব্যাট হাতে খেলতে নেমে ভারতীয় দলের ফলো অন সেভ করে দেন, যার ফলে রোহিত, গম্ভীররা বড় লজ্জার হাত থেকে বেঁচে যান। আকাশদীপ করেন ৩১ রান।
বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে কিছু পাওয়া যাক বা না যাক, অনেকদিন পর ওপেনিংয়ে রাহুলকে ছন্দে দেখা যাচ্ছে। প্রথম টেস্টের পর তৃতীয় টেস্টেও তিনি ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন। এবার তাঁকেই যেন এই পজিশনে পার্মানেন্ট রেখে দেওয়া হয়, সেই নিয়েই জোর সওয়াল করলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার দীনেশ কার্তিক। তিনি বলছেন সমর্থকরা যাতে ভুলে না যান, এই সিরিজে এখনও পর্যন্ত রাহুলের অবদানের কথা।
আরও পড়ুন-নতুন বছরে বাগান সমর্থকদের উপহার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার! হায়দরাবাদ FC ম্যাচের টিকিট ফ্রি
রাহুলের সমালোচকদের উদ্দেশ্যে কার্তিকের বার্তা, ‘আমি মনে করি লোকেশ রাহুলই হচ্ছে সেই ওপেনার, যাকে আমাদের দরকার। আশা করব ওর পাশে থাকবে দল। যদি আগামী এক বছরে রাহুলের ব্যাটে রানও না আসে, তাও আমার মনে হয় মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত নয় এই সিরিজটা। ও এখানে যেটা করেছে তার জন্য ওর প্রশংসা প্রাপ্য। অনেকেই বিদেশের মাটিতে ক্রিকেটারদের পারফরমেন্স দেখে তাঁদের বিচার করে থাকেন, আর রাহুল সেই কাজটা বিগত কয়েক বছর ধরেই ভালোভাবে করে আসছেন ’।
আরও পড়ুন-ওয়ার্নারের স্লেজিংয়ে ভয় পাননি! উল্টে দ্বিগুন স্লেজিং করেন পূজারা! ফাঁস করলেন রহস্য…
কার্তিক আরও বলছেন, ‘অনেকেই রাহুলের ধারাবাহিকতা নিয়ে কথা বলে, কিন্তু আমি ওই শব্দটা নিতে চাইনা। ও অনেকের থেকে ভালো। যেটা পরিসংখ্যানে দেখা যায়,সেই তুলনায় ওর পারফরমেন্স আরও ভালো। বিদেশের মাটিতে কোনও সিরিজ হলেই সবার আগে রাহুলের নাম বেছে নেওয়া হয়, কারণ সবাই জানে বিদেশের মাটিতে ওর থেকে কি পাওয়া সম্ভব ’।
দ্বিতীয় টেস্টে যখন ভারতীয় দল প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৮০ রানেই অলআউট হয়ে গেছিল, সেখানেও রাহুল নিজের দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেছিল। প্রথম টেস্টে লোকেশ রাহুলের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৭ রানের ইনিংসের জন্যই রোহিত শর্মাও বাধ্য হন নিজেকে ব্যাটিং অর্ডারে পিছনের দিকে পাঠাকে। তাই রাহুলের হয়ে এবার বার্তা দিলেন কার্তিক।