একটি সূত্র জানিয়েছে যে যদি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এএসসি) বার্ষিক সাধারণ সভা (AGM) ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় তাহলে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) সেটিকে ‘বয়কট’ করবে। যেকোনো প্রস্তাবেই তারা রাজি হবে না। ছয় দলের টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। ভারত এই টুর্নামেন্টের মনোনীত আয়োজক হলেও এখনও এএসসি কোনও সময়সূচি বা ভেন্যু ঘোষণা করেনি। গুঞ্জন অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাসকে এই টুর্নামেন্টের সম্ভাব্য সময় হিসাবে ধরা হয়েছে।
এই সভাটি ২৪ জুলাই ঢাকায় হওয়ার কথা। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ভারত এই বৈঠকে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সম্প্রতি বিসিসিআই এবং বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে ২০২৫ সালের অগস্টে ভারতের বাংলাদেশ সফর পিছিয়ে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এএসসি-র নেতৃত্বে রয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)-এর চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি। সূত্রের দাবি, এই সভা নিয়ে মহসিন নকভি ভারতের উপর ‘অপ্রয়োজনীয় চাপ’ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। বিসিসিআই সভাপতির কাছে সভার ভেন্যু পরিবর্তনের অনুরোধ করলেও এখনও কোনও জবাব পাওয়া যায়নি।
সূত্রটি জানিয়েছে, ‘ঢাকা বাদ দিয়ে অন্য কোথাও সভা হলে তবেই এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হতে পারে। এএসসি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি ভারতের উপর অপ্রয়োজনীয় চাপ সৃষ্টি করছেন। আমরা তাঁকে ভেন্যু পরিবর্তনের অনুরোধ করেছি, কিন্তু এখনও কোনো সাড়া পাইনি। মহসিন নকভি যদি ঢাকায় সভা করেন, তাহলে বিসিসিআই যেকোনো সিদ্ধান্ত বা প্রস্তাব বয়কট করবে।’
ভারত এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। ২০২৩ সালে ভারত পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়, ফলে ভারতের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যু শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হয়। এ বছরের শুরুতে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করে, কিন্তু ভারত সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়ে দুবাইয়ে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সব ম্যাচ খেলে।
মে মাসে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় রিপোর্ট ও গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে, ভারত চলতি বছরের এশিয়া কাপ এবং উইমেন্স ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে অংশ নিচ্ছে না, যার পিছনে কারণ ভারত-পাকিস্তান মধ্যকার উত্তেজনা।
এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, বিসিসিআই এএসসি-কে জানিয়ে দিয়েছে যে তারা দুইটি ইভেন্ট থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে—শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য উইমেন্স ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ এবং সেপ্টেম্বরের পুরুষদের এশিয়া কাপ। তবে বিসিসিআই সচিব দেবজিত সাইকিয়া এই দাবিগুলি স্পষ্টভাবে অস্বীকার করে জানান, বিসিসিআই এমন কোনও আলোচনা করেনি বা কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তিনি এই রিপোর্টগুলোকে ‘কাল্পনিক ও জল্পনা-কল্পনামূলক’ বলে অভিহিত করেন।