এজবাস্টনে ৫৮ বছরের জয়ের খরা কাটিয়ে প্রথম কোনও ভারতীয় টেস্ট দল রবিবার রাতে জয়ের বিজয় নিশান লাগিয়েছে! একই সঙ্গে 'গিল অ্যান্ড কোং' ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলা ‘অ্যান্ডারসন তেন্ডুলকার’ সিরিজে সমতা ফিরিয়ে এনেছে। এই ম্যাচে একাধিক ক্রিকেটারের তাবড় অবদান রয়েছে। তাঁদেরই মধ্যে একজন আকাশ দীপ। বাংলার টিমের সদ্য এই পেসার বিহারের সাসারামের ভূমিপুত্র। ম্যাচ শেষে রবিবারই আবেগঘন আকাশদীপ জানিয়েছিলেন তাঁর দিদির ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার কথা। যা শুনে আকাশদীপের দিদি অখণ্ডজ্যোতি সিং খুললেন মুখ।
এজবাস্টন টেস্টে ১০ উইকেট পকেটে পুরে আকাশদীপ এক স্বপ্নের স্পেল উপহার দিয়েছেন। ম্যাচ শেষে তিনি সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন চেতেশ্বর পূজারাকে। বাড়িতে উদযাপ ঘিরে পূজারার প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আকাশ বলেন,' সবচেয়ে বড় বিষয় আমি কাউকে বলিনি এখনও যে আমার দিদি গত ২ মাস ধরে ক্যানসারে ভুগছেন। এখন ও ভালো আছে। স্থিতিশীল আছে।' একই সঙ্গে আকাশ বলেন,' সবচেয়ে বেশি খুশি ওই হবে। ২ মাস ধরে যে মানসিক অবস্থা দিয়ে ও যাচ্ছে, এটা ওর জন্য খুব খুশির। আমি এই ম্যাচটা ওঁকেই উৎসর্গ করে খেলছিলাম। ওর মুখে খুশি দেখতে চাই।'
এরপর আজ তার লখনউয়ের বাড়িতে বসে আকাশের দিদি অখণ্ডজ্যোতি, ভাইয়ের সেই বার্তার উত্তরে বলেন,' আকাশ আমার জন্য পারফরম্যান্স উৎসর্গ করেছে, আমি খুব গর্বিত। নিজের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি আমাকে উৎসর্গ করেছে..।' তাঁর কাছে প্রশ্ন যায়, আকাশ বলেছিলেন বল করতে গিয়ে দিদির মুখটাই মনে পড়ছে… প্রশ্ন শুনে আকাশের দিদি বলেন,' আমি আবেগঘন হয়েছিলাম। চোখে জল এসেছিল, তারপর নিজেকে সাহস যুগিয়ে.. বলেছিলাম, আমার ভাই আমার জন্য এতটা করেছে, ..আর দেশের জন্য এমনই যেন করতে থাকে।' আকাশ বলেছিলেন, দিদির মুখে হাসি দেখতে চান, সেই প্রসঙ্গে আকাশের দিদি বলেন,' ১০ টা উইকেট নিয়েছে.. বলতে পারব না কতটা খুশি ছিলাম। আমরা সবাই বসে হাততালি দিচ্ছিলাম। ১০ উইকেট নিয়েছে এইটা নিয়েই আমি খুশি। দুঃখ আর কিছু মনেই হয়নি।' তিনি জানান, আকাশ, ইংল্যান্ডে যাওয়ার সময় ওকে তুলে দিতে গিয়েছিলেন তিনি। এরই সঙ্গে জানিয়ে বাংলার এই পেসারের দিদি বলেন,' যখনই ওঁর ম্যাচ চলে ঘরে ৫ দিন ধরে অখণ্ড প্রদীপ জ্বলে। যাতে ভালো করে উইকেট নেয়। দেশের জন্য ভালো করে। ম্যাচ যেন জেতায়।'