এমনিতে ম্যাচ হারুন বা জিতুন, কেকেআরের অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানেকে খুব একটা বেশি কথা বলতে দেখা যায় না। কিন্তু পঞ্জাবের বিপক্ষে লজ্জার হারের পর আর নিজেকে চেপে রাখতে পারলেন না নাইট অধিনায়ক। নিজের একটি ভুল সিদ্ধান্তই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াল, নাহলে সহজ ম্যাচে কেকেআরকে এমন নাজেহাল অবস্থার মধ্যে পড়তে হত না।
ম্যাচ শেষে সমস্ত ক্রিকেটাররাই একে অপরের সঙ্গে হাত মেলান। সেরকমভাবেই শ্রেয়স আইয়ারসহ পঞ্জাব দলের সদস্যদের সঙ্গে হাত মেলাতে এগিয়ে যান রাহানে। তখনই প্রাক্তনীর উদ্দেশ্যে কেকেআরের বর্তমান বলেন, আজকে তাঁদের দল সত্যিই খুব বাজে ব্যাটিং করেছে। এর অবশ্য একাধিক কারণও রয়েছে।
কারণ পঞ্জাবের মাঠে প্রতিপক্ষকে মাত্র ১১১ রানে অলআউটের পর কেকেআর শুরুটা ভালোই করেছিল। পাওয়ারপ্লে দেখে মনে হচ্ছিল, তাঁরা পয়েন্ট তালিকায় ১ নম্বরেও উঠে আসতে পারে, যে গতিতে তারা রান তুলছিলেন। কিন্তু রাহানের একটি মিস জাজ শট এবং ডিআরএস না নেওয়াই কাল হল। কারণ তাঁকে এলবিডাব্লু দেওয়া হলেও পরে দেখা গেল তিনি আউট ছিলেন না। অথচ তিনি যতক্ষণ ছিলেন দলের অবস্থা ভালোই ছিল।
রাহানের আউটের পরই বিপর্যস্ত কেকেআর
তবে রাহানের আউটের পরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাধের ব্যাটিং লাইন আপ। একজনের কথা না বললেই নয় তিনি অংকৃষ রঘুবংশী। যেই যেই ম্যাচে নাইটরা বাজে ব্যাটিং করছে, সেই সেই ম্যাচেই কিন্তু অংকৃষ নজর কাড়ছেন। এই ম্যাচেও চেষ্টা চালালেন। তবে বেঙ্কটেশ আইয়ার, আন্দ্রে রাসেল, রিঙ্কু সিংয়ের মতো তারকারা এতটাই দলকে ডোবালেন যে তাঁর ৩৭ রানের ইনিংস কাজেই লাগল না। মাত্র ৯৫ রানেই অলআউট হয়ে যায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কেকেআর।
কি বাজে ব্যাটিং করেছি আমরাঃ রাহানে
ম্যাচ শেষে তাই হাত মেলাতে গিয়ে মারাঠিতে শ্রেয়সকে রাহানে বলেই ফেললেন, ‘কি ফালতু ব্যাটিং করলাম আমরা ’। আসলে তাঁরা দুজনেই মুম্বই রঞ্জি দলে একসঙ্গে খেলে থাকেন। সেখানে রাহানের অধিনায়কত্বেই খেলেন শ্রেয়স। আর আর নিজের অধিনায়কের দলকেই তিনি টেক্কা দিয়েছেন। এমনিতেই এই ম্যাচ তাঁর কাছে ছিল সম্মানরক্ষার। সেই ম্যাচে নিজে গোল্ডেন ডাক করেও দল জেতায় তাঁই হাঁফ ছেড়ে বাছলেন শ্রেয়স আইয়ার। কারণ তাঁর দলের জয়ের ক্ষেত্রে পঞ্জাবের বোলারদের তুলনায় নাইট ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বেশি প্রকটভাবে দেখা গেছে।