মহারাষ্ট্র প্রিমিয়ার লিগ ২০২৫-এর এলিমিনেটর ম্যাচে, রায়গড় রয়্যালস এবং কোলহাপুর টাস্কার্সের মধ্যে খেলায় এমন কিছু দেখা গেল, যা আপনি খুব কমই দেখেছেন। এই ম্যাচে রান নেওয়ার সময়ে দুই ব্যাটসম্যান একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে গড়াগড়ি খেলেন। দু'জনের মধ্যে সংঘর্ষ এতটাই তীব্র ছিল যে, দু'জনেই ভয়াবহ আঘাত পেতে পারতেন। এই দুই ব্যাটসম্যান মাঠের মাঝখানে পড়ে যান, কিন্তু বড় ধরনের কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে এর চেয়েও অবাক করার মতো বিষয় হল, এত কাণ্ডের পরেও, ফিল্ডিং টিম দুই ব্যাটারের কাউকেই রান আউট করতে পারেনি। আসুন জেনে নিন, কী ভাবে এই সব ঘটনা ঘটেছিল?
রায়গড় রয়্যালসের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দুর্ঘটনা
মহারাষ্ট্র প্রিমিয়ার লিগে, রায়গড় রয়্যালসের ব্যাটসম্যানরা দুই রান নেওয়ার জন্য দৌড়াচ্ছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় রানের জন্য যখন তাঁরা দৌড়চ্ছিলেন, তখনই ঘটে অঘটন। তাঁরা বাজে ভাবে একে অপরের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খান। আর এই সংঘর্ষের সঙ্গে সঙ্গেই দুই ব্যাটারই মাঠে পড়ে গিয়ে গড়াগড়ি খান। সেই সময়ে ফিল্ডিং টিমের কাছে বড় সুযোগ ছিল, দুই ব্যাটারের মধ্যে যে কোনও একজনকে রান আউট করার। কিন্তু তারা সেটা করতে ব্যর্থ হন। ফিল্ডার বল ধরেই উইকেটকিপারকে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। তিনি খুব সহজেই স্টাম্প ভাঙতে পারতেন না। অবাক করার মতো বিষয় হল, উইকেটকিপার নিজের দিকের স্টাম্প না ভেঙে, নন স্ট্রাইকার এন্ডে বলটি ছুড়ে দেন।
এদিকে, সংঘর্ষের পর, একজন ব্যাটসম্যান নন-স্ট্রাইকার এন্ডে সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে যান। নন স্ট্রাইকার এন্ডে অন্য ফিল্ডার উইকেট ভাঙার আগেই, সেই ব্যাটার ক্রিজে ঢুকে পড়েছিলেন। এর পরে, অন্য ব্যাটসম্যানও স্ট্রাইকার এন্ডে পৌঁছে যান। একজন ফিল্ডার স্ট্রাইক এন্ডে থ্রো করে ব্যাটসম্যানকে রান আউট করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয়নি। ফলস্বরূপ, দুই ব্যাটসম্যানই অপরাজিত থাকেন। এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে তুমুল হাসাহাসি চলছে। তবে কোনও বড় অঘটন যে ঘটেনি, এই রক্ষে!
রায়গড় রয়্যালস জয়লাভ করেছে
মজার বিষয় হল, এই ম্যাচেও জয় পেয়েছে রায়গড় রয়্যালস। মহারাষ্ট্র প্রিমিয়ার লিগের এলিমিনেটর ম্যাচে রায়গড় রয়্যালস ২ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয়। প্রথমে ব্যাট করে কোলহাপুর টাস্কার্স ৭ উইকেটে ১৬৪ রান করে, জবাবে রায়গড় রয়্যালস ১৯.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে এই লক্ষ্য অর্জন করে। রায়গড়ের পক্ষে ভিকি অস্তওয়াল সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন। নীরজ জোশি অপরাজিত ৩৭ রান এবং সিদ্ধেশ বীর ৩৯ রান করেন।