জাতীয় সড়কের উপর কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক তৃণমূল উপ-প্রধান। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার নিউ ফরাক্কা ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে। আক্রান্ত অফিসারের নাম তাপস ঘোষ। তিনি ফরাক্কা ট্রাফিক বিভাগে এএসআই পদে কর্মরত। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে পুলিশের উপর হামলা, নৈহাটি থেকে গ্রেফতার আরও ১, চলছে বাকিদের খোঁজ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ইঞ্জিনচালিত ভ্যানে পাট বোঝাই করে মালদার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। নিয়ম অনুযায়ী এই ধরনের ভ্যান জাতীয় সড়কে চলাচল করতে পারে না। তাই কর্তব্যরত এএসআই তাপস ঘোষ ভ্যানটি আটকে চালককে জানান, আর এই রাস্তায় মালবাহী ভ্যান নিয়ে আসা যাবে না এবং মুচলেকা দিয়ে ছাড়া হবে। চালক বিষয়টি মালিককে জানান। কিছুক্ষণের মধ্যে ভ্যানের মালিক ঘটনাস্থলে হাজির হন। এরপরই শুরু হয় উত্তেজনা।
অভিযোগ, মালিক নিজেকে বেওয়া-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান তারিকুল শেখ হিসেবে পরিচয় দেন এবং পুলিশের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা নাকি এএসআই-এর উপর চড়াও হয়ে শারীরিকভাবে আঘাত করেন এবং গালিগালাজও করেন। হামলায় জখম হন এএসআই তাপস ঘোষ। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফরাক্কা থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে সেখান থেকেই আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।অভিযুক্ত উপ-প্রধান তারিকুল শেখ অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি মারধর করেননি। তাঁর কথায়, তিনি বেওয়া-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান। তাঁর নিজের ভ্যানে পাট মালদার দিকে পাঠিয়েছছিলেন। পুলিশ সেই গাড়ি আটকায় ও চাবি নিয়ে নেয়। তিনি গিয়ে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। কথা কাটাকাটি হলেও মারধরের অভিযোগ মিথ্যে। পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং কর্তব্যরত অফিসারের উপর হামলার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের প্রশ্ন, যদি জনপ্রতিনিধি হয়েও কেউ প্রকাশ্যে পুলিশের উপর হামলা চালাতে পারে, তাহলে সাধারণ মানুষ কতটা নিরাপদ!