পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ছ’মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার চেষ্টা করতে হবে সিবিআইকে। এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই সংক্রান্ত মামলায় জামিনের আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অন্যতম অভিযুক্ত অয়ন শীল। কিন্তু তা গ্রাহ্য হয়নি। তাঁর আইনজীবীকে ছ’মাস পরে আবার আবেদনের পরামর্শ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
আরও খবর-ফের তোলপাড় যাদবপুর! ছাত্রীর মৃত্যুতে নজরে CCTV, কী বলছে পরিবার?
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে অয়ন শীলকে প্রথম গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে তাঁর সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালাতে গিয়ে উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু ওএমআর শিট। সেখান থেকেই পুরসভার নিয়োগেও দুর্নীতির হদিস পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। অয়নের সংস্থা পুর নিয়োগের ক্ষেত্রে ওএমআরের দায়িত্বে ছিল। এর আগে অয়নের জামিনের আবেদন কলকাতা হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছিল। এরপরেই তিনি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পিএস নরসিংহ এবং বিচারপতি অতুল এস চান্দুকরের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, এখনই জামিন মঞ্জুর করা সম্ভব নয়। বিচারপতির মন্তব্য, ‘ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ রয়েছে। হাজার হাজার যুবকের ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।’
আরও খবর-ফের তোলপাড় যাদবপুর! ছাত্রীর মৃত্যুতে নজরে CCTV, কী বলছে পরিবার?
অন্যদিকে অয়ন শীলের আইনজীবী আদালতে জানান, মোট ১৬টি পুরসভায় দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে সিবিআই। একটি পুরসভার তদন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। একটি চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। কবে এই তদন্ত শেষ হবে, তার কোনও ঠিক নেই। এরপরেই তাঁর আইনজীবী আবেদন করেন, দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে যে ভাবে জামিন দেওয়া হয়েছে, সেই ভাবেই শর্তসাপেক্ষে অয়নকেও জামিন দেওয়া হোক। কিন্তু এই আবেদনের বিরোধিতা করে সিবিআই পাল্টা যুক্তি দেয়। কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী বলেন, ‘ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত অনেক তথ্য উঠে আসছে।’ এরপরেই বিচারপতি জানতে চান, কত দিনে এই তদন্ত শেষ করতে পারবে সিবিআই। সেই সময় অয়নের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন, তিন মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলা হোক সিবিআইকে। কিন্তু শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ছ’মাসের মধ্যে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত শেষ করার চেষ্টা করবে সিবিআই। আপাতত অয়নকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। ছ’মাস পরে তাঁর আইনজীবী আবার জামিনের জন্য আবেদন করতে পারেন। তখন আবেদনটি বিবেচনা করে দেখা হবে। এরপর মামলা প্রত্যাহারের অনুমতি চান অয়নের আইনজীবী। সেই আবেদন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট।