বর্তমানে পুলিশ নিজস্বভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি, কে এই হামলার মূল চক্রি, কার নির্দেশে এই খুন, কিংবা এর পেছনে আসল উদ্দেশ্য কী। তদন্তকারীদের আশা, নতুন করে ধৃত দুই অভিযুক্তকে জেরা করলেই অনেক অজানা তথ্য সামনে আসবে।
কোচবিহারে তৃণমূল নেতার খুনে বড় সাফল্য পুলিশের, অরুণাচল থেকে ধৃত আরও ২
কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অমর রায় খুনের ঘটনায় বড় সাফল্য পেল পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিশ। অরুণাচলপ্রদেশের নাহারলাগুন থেকে গ্রেফতার করা হল আরও দু’জন অভিযুক্তকে। ধৃতদের নাম নারায়ণ বর্মন ওরফে বিশাল এবং কিশোর বর্মন ওরফে ভোগি। দু’জনেই কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি এলাকার মরা নদীর কুঠি গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার এই মামলায় প্রথমে ধরা পড়ে বিনয় রায় নামে এক কুখ্যাত শার্প শ্যুটার। তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। বিনয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেই উঠে আসে আরও কয়েকজনের নাম। সেই সূত্রে তল্লাশি চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে অরুণাচলপ্রদেশের পাপুম পারে জেলার নাহারলাগুন থেকে বিশাল ও ভোগিকে পাকড়াও করে পুলিশ।
শুক্রবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে পুলিশ ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন জানায়। তবে আদালত আপাতত ৭ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছে আদালত। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, অভিযুক্তদের জেরা করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে। বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে, খুব শিগগিরই পুরো চক্রের রহস্য ফাঁস হবে।
কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এ মাসের ৯ তারিখ ডোডেয়ারহাটে গুলি চালনার ঘটনায় অমর রায় প্রাণ হারান। সঙ্গে থাকা আলমগীর নামে এক যুবক আহত হন। তাঁকে এখন হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। প্রথমে অসম-বাংলা সীমান্ত থেকে বিনয় রায়কে ধরা হয়েছিল। পরে অরুণাচলে একটি টিম অভিযান চালিয়ে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করে। এদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ হাতে এসেছে।