আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ভূমিকা দেখেছিল বাংলার মানুষজন। পুলিশের উপর হামলা থেকে শুরু করে ভাঙচুর, ইটবৃষ্টি সবই দেখা গিয়েছিল তাদের নবান্ন অভিযান কর্মসূচিকে ঘিরে। এবার আবার ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের ইস্যুতে নবান্ন অভিযানে নামতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সুতরাং আবার তাণ্ডব পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই নবান্ন অভিযানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তাঁরা পাশে চেয়েছেন। আর এই নবান্ন অভিযানে শুভেন্দুর থাকার আশ্বাস পেয়েছেন তাঁরা।
এদিকে ‘বঞ্চিত’ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের দাবি, চাকরিহারাদের সঙ্গে দেখা করলে তাঁদের সঙ্গেও দেখা করতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাই ‘বঞ্চিত’ চাকরিপ্রার্থীদের নবান্ন অভিযানে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। এই সংগঠনের নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি বলে অভিযোগ করে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন এই সংগঠনই ‘বঞ্চিত’ চাকরিপ্রার্থীদের অভিযানে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল। এই অভিযানে যোগ দিচ্ছে ‘সংগ্রামী যৌথমঞ্চ’। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ডিএ নিয়ে যাঁরা আন্দোলন করছেন।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু অধিকারীর কাটআউটে জুতোর মালা–কালি, রাজভবনের বাইরে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ
অন্যদিকে ২০০৯ সাল থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা ‘বঞ্চিত’ তাঁদেরও ১২টি সংগঠন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে। তারিখ একই— ২১ এপ্রিল। কিন্তু ২০০৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতাতেই আসেনি। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে এমন অভিযান কেন? উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই সোমবার বিধানসভায় শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করেন চাকরিহারাদের একাংশ। তখন বিরোধী দলনেতা তাঁদের এই নবান্ন অভিযানে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। যদিও চাকরিহারাদের পক্ষ থেকে এখনও এই বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু ঘোষণা করা হয়নি। এই আবহে এবার নবান্ন অভিযানে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’।