মামলাটি দায়ের করেছেন তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা (সদর) জেলা সভাপতি ও দলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী। আদালতে তাঁর পক্ষে আইনজীবী অর্ক নাগ যুক্তি দেন, সাধারণত নির্বাচন ঘনালেই কমিশন দলগুলির কাছ থেকে বিএলএ-র নাম নেয়। এখনও ভোট বহু দূরে, অথচ জুন-জুলাইয়ে তালিকা চাওয়া হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্ট
ভোটের বহু আগেই বুথ লেভেল এজেন্টদের (বিএলএ) নাম জমা চাওয়ার নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিংহ তড়িঘড়ি শুনানির প্রার্থনা খারিজ করে দেন। ফলে বিষয়টি এখন নিয়মিত তালিকা অনুযায়ী শুনানির জন্য উঠবে।
মামলাটি দায়ের করেছেন তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা (সদর) জেলা সভাপতি ও দলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী। আদালতে তাঁর পক্ষে আইনজীবী অর্ক নাগ যুক্তি দেন, সাধারণত নির্বাচন ঘনালেই কমিশন দলগুলির কাছ থেকে বিএলএ-র নাম নেয়। এখনও ভোট বহু দূরে, অথচ জুন-জুলাইয়ে তালিকা চাওয়া হয়েছে। এটা নজিরবিহীন তাড়াহুড়ো। জবাবে আদালতের প্রশ্ন, কমিশন কি শুধু তৃণমূলকেই নাম দিতে বলেছে? যদি না হয়ে থাকে, অন্য দলগুলির আপত্তি নেই। এ ক্ষেত্রে শাসকদলের সমস্যা কোথায়?
প্রসঙ্গত, ৩০ জুলাই মাসে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে (সিইও) দ্রুত বিএলএ-র তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলিকে ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ নাম পাঠাতে বলেছে সিইওর দফতর। কমিশনের এই সক্রিয়তা বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে শাসক দল। বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই তালিকা বানাতে নেমে পড়েছে বলেও খবর।