কয়েকদিন আগেই লালবাজার অভিযান করে কলকাতার নগরপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে তাঁরই পদত্যাগের দাবি জানান আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। লালবাজারে সেই বৈঠকের সময় পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সামনেই টেবিলে রাখা ছিল একটি শিরদাঁড়া। এই আবহে এবার আন্দোলনরত চিকিৎসদের পালটা তোপ দাগলেন কুণাল ঘোষ। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই বিষয়ে কুণাল ঘোষ বললেন, 'ভগবান না করুন পুলিশের কোনও পরিবারের কেউ শিরদাঁড়া নিয়ে গিয়ে ডাক্তারবাবুদের সামনে দাঁড়ান। আর বলেন এই হাসপাতালে এত বেশি বিল করবেন না, অহেতুক পেসমেকার বসাবেন না। যদি শিরদাঁড়া উপহার দিয়ে বলেন, অকারণে ওমুক ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে টেস্ট করাতে বলবেন না।' (আরও পড়ুন: RG কর কাণ্ডে নয়া মোড়, ডিসি নর্থের নামে অভিযোগ উঠতেই নির্যাতিতার বাবার কাছে CBI)
আরও পড়ুন: আরজি কর সেমিনার রুম চত্বর ভাঙার ঘটনায় রহস্য ঘনীভূত, জড়িত জুনিয়ার ডাক্তাররাও?
প্রসঙ্গত, গতকালই অভিযোগ ওঠে, আরজি করে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনার কবলে পড়া এক যুবকের। এই আবহে তিকিৎসকদের কর্মিরতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কুণাল। তৃণমূল নেতা বলেন, 'আরজি করে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। ২৮ বছরের শ্রীরামপুরের এক যুবকের পায়ের ওপর দিয়ে লরির চাকা চলে যায়। তাঁকে আরজি করে রেফার করা হয়। সেখান থেকে সকাল ৯টা নাগাদ আরজি করে আনা হয়। ৩ ঘণ্টা সেখানে পড়েছিল। তাঁকে ভর্তি করানো হয়নি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়, মৃত্যু হয়। সরকারি হাসপাতালে আসার পর যদি এইভাবে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম রোগী পড়ে থাকেন, কারণ কয়েকজন ডাক্তারবাবু কর্মবিরতি পালন করছেন, তাহলে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।'
আরও পড়ুন: ধর্ষণ-খুনের সাথে যুক্ত নন সঞ্জয়, আরজি কর কাণ্ডে দাবি ধৃত সিভিকের আইনজীবীর