‘শিক্ষক ধরার নাম করে শিয়ালদা স্টেশনে যাত্রীদের…’ রেলমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান শুভেন্দু

চাকরিহারা আন্দোলনকারী শিক্ষকদের চিহ্নিত করার নাম করে পুলিশ শিয়ালদা স্টেশনে ঢুকে সাধারণ যাত্রীদের হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এক্স হ্যান্ডলে এনিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু।এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘গতকাল ৩০ মে ২০২৫ কলকাতা পুলিশ বেআইনিভাবে শিয়ালদা স্টেশনে প্রবেশ করেছিল। এরপর চাকরিহারা শিক্ষকদের চিহ্নিত করার নাম করে যাত্রীদের পরিচয় জানার কাজ শুরু করে পুলিশ। এরপর যাত্রীদের নির্বিচারে মারধর করে, এরপর শিক্ষকদের আটক করে যারা কেবলমাত্র যাত্রী হিসাবে ছিলেন। তারা শিয়ালদা রেলস্টেশন চত্বরে কোনওভাবেই প্রতিবাদ করা, বিক্ষোভ দেখানোর কাজ করছিলেন না।’শুভেন্দু লিখেছেন, ‘এই শিক্ষকরা ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারির শিকার। তাঁদের নবান্নর দিকে শান্তিপূর্ণ মিছিল করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তাদের প্রচন্ড হেনস্থা করা হয়। তাদেরকে প্রিজন ভ্যানে একেবারে অপরাধীদের মতো করে টেনে হিঁচড়ে তোলা হয়।’ 'এটা রেলমন্ত্রকের আওতার মধ্য়ে থাকার ব্যবস্থার লঙ্ঘন করা ও গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর আঘাত। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও এই ধরনের ঘটনা হয়েছে। ২০২২ সালে বিজেপির নবান্ন অভিযানের সময়তেও বাংলার বিভিন্ন রেলস্টেশনের ভেতরে গিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। ২০২৩-২৪ টেট প্রার্থীদের প্রতিবাদকে দাবিয়ে রাখার জন্য মেট্রো স্টেশনের ভেতরে গিয়েও একই ধরনের আচরণ করা হয়েছিল।'শুভেন্দু লিখেছেন, 'আমি কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে গোটা বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য় অনুরোধ করছি। কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশ যে আইন লঙ্ঘন করছে তা যাতে অবিলম্বে বন্ধ করা হয় তা নিশ্চিত করার আবেদন করছি।'তিনি লিখেছেন, 'যাত্রীদের অধিকার ও রেলওয়ে চত্বরের পবিত্রতা রক্ষা করা দরকার। কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশ যাতে এখানে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা লঙ্ঘন করতে না পারে সেটা দেখা দরকার।'শুক্রবার আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল এবং পরে সেখান থেকে নবান্নে একটি প্রতিনিধি দল গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। তবে আগে থেকেই তৎপর ছিল পুলিশ। জমায়েতের আগেই শিক্ষকদের আটক করে পুলিশ। শিয়ালদা রেল স্টেশন এবং মেট্রো স্টেশন থেকে বের হতেই একে একে শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রিজন ভ্যানে তুলতে থাকে পুলিশ। অভিযোগ ওঠে কয়েকজন সাধারণ মানুষকে ধরে পুলিশ টানা হেঁচড়া করেছিল।