ডায়মন্ডহারবার থানা সংলগ্ন এলাকায় একের পর এক বিস্ফোরণ। আর এই বিস্ফোরণ নিয়ে কার্যত বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, 'ডায়মণ্ড হারবার থানা বিস্ফোরণে ভস্মিভূত !!!
ঘটনাস্থল ডায়মণ্ড হারবার থানা। যেটা জানা যাচ্ছে আটক করা বিষ্ফোরক থেকে বিস্ফোরণ ঘটে ডায়মণ্ড হারবার থানা ভয়াবহ আগুনে প্রায় ভস্মিভূত। দমকল আগুন নেভানোর প্রয়াস করছে।
যেমন এলাকা, তেমন থানা, অনুরূপ ঘটনা!
আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে এই অবৈধ বিষ্ফোরক মজুত করা হচ্ছিলো কিনা তা তদন্ত করে দেখার জন্যে দাবি জানাচ্ছি।
শেষে তিনি লিখেছেন, ডায়মন্ডহারবার মডেল।
চুপ উন্নয়ন চলছে।' লিখেছেন শুভেন্দু।
সেই সঙ্গেই একটি ভিডিয়ো তিনি পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে অন্ধকারের মধ্যে দূরে কোথাও দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। সেই সঙ্গে একের পর এক বাজি ফাটার মতো শব্দ হচ্ছে। কালো ধোঁয়ায় চারদিক ঢেকে গিয়েছে।
এদিকে এই বিস্ফোরণ ঠিক কীভাবে হয়েছে তা নিয়ে নানা চর্চা চলছে এলাকায়। তবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, 'যেমন এলাকা, তেমন থানা, অনুরূপ ঘটনা!
আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে এই অবৈধ বিষ্ফোরক মজুত করা হচ্ছিলো কিনা তা তদন্ত করে দেখার জন্যে দাবি জানাচ্ছি।'
অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, আগামী বিধানসভা ভোটের আগে এই অবৈধ বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছিল কি না সেটা তদন্ত করে দেখা দরকার।
প্রসঙ্গত ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর ডায়মন্ডহারবার থানার কাছেই এই বিস্ফোরণ।এনিয়ে বড় দাবি শুভেন্দুর।
এদিকে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, অবৈধ বাজি বাজেয়াপ্ত করে মজুত করা হয়েছিল। সেখানেই বাজ পড়ে আগুন ধরে যায়। দমকলের একাধিক ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে থানার মূল ভবনের কোনও ক্ষতি হয়নি বলে পুলিশের দাবি।
বুধবার রাতে এই ঘটনা হয়েছিল বলে খবর। মাধবপুর এলাকায় ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে এই ডায়মন্ড হারবার থানা রয়েছে। তারই একাংশে বাজি মজুত রাখা হয়েছিল। নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করার পরে সেখানে জমা করে রাখা হয়েছিল। সেখানেই কোনওভাবে বিস্ফোরণ হয় বলে দাবি করা হচ্ছে। এখানেই প্রশ্ন এভাবে থানার পাশে বাজেয়াপ্ত হওয়া শব্দবাজি রেখে দেওয়া কতটা যুক্তিসংগত।