এবার বিধানসভার অধিবেশনে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রস্তাব আসছে। আজ,সোমবার সে কথা জানিয়ে দিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং ৯ জুন বিধানসভার বাদল অধিবেশন শুরু হলেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনা হবে। এই অধিবেশন চলবে দু’সপ্তাহ। এটা রাজ্য সরকারের একটা মাস্টারস্ট্রোক। কারণ বিধানসভায় যখনই অধিবেশন হয় প্রধান বিরোধী দল বিজেপি তা বয়কট করে। এবার তারা বয়কট করতে পারবে না। এভাবেই বেঁধে ফেলা হল বিরোধীদের। আবার এক সংবিধান সংশোধনী প্রস্তাব আসতে চলেছে বিধানসভার অধিবেশনে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে বিধানসভায় পাশ হওয়া একাধিক বিল আটকে রাখা হয় রাজভবনে বলে বারবার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক থেকে মন্ত্রীরা। এই বিল আটকে রাখার প্রথা ভাঙতেই এবার সংবিধান সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আসা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। তাহলে একটি পাশ হওয়া বিল অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখা যাবে না। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট বিল আটকে রাখা নিয়ে রাজ্যপালদের ভর্ৎসনা করেছে। এমনকী রাষ্ট্রপতি অনির্দিষ্টকালের জন্য বিল আটকে রাখতে পারেন না বলেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তাই রাজ্যপালের সময়সীমা বিল সইয়ের ক্ষেত্রে বেঁধে দিতে পারলে চাপ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দালালের সাহায্যে অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশ, নদিয়ায় ১০ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী গ্রেফতার
অন্যদিকে সংসদে ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং বিদেশ থেকে বহুদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধি দল ফিরে আসার পর সবকটি বিষয়ের উপর আলোচনা চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বিধানসভার অধিবেশনেও ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনা চেয়ে প্রস্তাব আনা হচ্ছে। এই নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে যে বিলগুলি রাজ্যপালের কাছে পড়ে আছে সেই বিলগুলিতে অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে বিকুইজেশন আসতে পারে যে সংবিধান সংশোধনী প্রস্তাব আনা হতে পারে। তারপর কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হবে। যদি একটা সময়সীমা বেঁধে দিতে হয় তাহলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।’ যদিও পথটা কঠিন।
এছাড়া ৯ জুন থেকে বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতে সেনাবাহিনীকে সম্মান প্রদর্শন করে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রস্তাব নিয়ে আসা হচ্ছে। এটার বিরোধিতা করে প্রধান বিরোধী দল নিশ্চয়ই ওয়াকআউট করবে না। তেমনটাই মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদের হিংসা নিয়ে বিশেষ অধিবেশন বিধানসভায় ডাকা হোক বলে দাবি তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এটা নিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘বিরোধীরা প্রস্তাব আনুক। তারপরে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ছোটখাটো অনেক কিছু নিয়ে ওরা প্রস্তাব আনে এবং আলোচনা চায়। তারপর মুখ্যমন্ত্রী বলার সময় ওয়াকআউট করে। আমি জানি না সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলার সময় বিরোধীরা ওয়াকআউট করলে সেটায় ওদের কতটা অস্বস্তি হয়।’