রবিবার চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে ৮৩ রানের পরাজয়ের পর গুজরাট টাইটান্সের পক্ষে আইপিএল ২০২৫-এ শীর্ষ দুইয়ে স্থান নিশ্চিত করার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্য ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডেভন কনওয়ে এবং ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের অর্ধশতরানের উপর ভর করে সিএসকে একটি দুর্দান্ত স্কোর করে, যা টাইটান্সরা তাড়া করতে ব্যর্থ হয়। তবে বড় হারের পরেও, জিটি ১৪ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট। তবে তাদের নেট রানরেটে বড় ধাক্কা লেগেছে।
শীর্ষ দুই স্থান ধরে রাখতে হলে, গুজরাট টাইটান্সকে এখন আশা করতে হবে যে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (১৭ পয়েন্ট) তাদের শেষ লিগের ম্যাচে যেন লখনউ সুপার কিংসের বিপক্ষে হেরে যায়। এই পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (১৬ পয়েন্ট) এবং পঞ্জাব কিংস (১৭) এর কোনও দল মুখোমুখি লড়াইয়ে জয়ী হলে, জিটিকে টপকে যাবে। মুম্বই জিতলে গুজরাটের সমান পয়েন্ট হবে, তবে তাদের নেট রানরেট আপাতত সবার চেয়ে বেশি।
‘ক্যাপ্টেন কুল’ও মেজাজ হারান
যাইহোক জিটি-র বিরুদ্ধে হাই-স্টেকস সংঘর্ষের সময়, চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক এমএস ধোনির মাঠে নিজের সংযম হারিয়ে ফেলার এক বিরল দৃশ্য দেখা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দশম ওভারে, যখন শিবম দুবে ১৮ রান দেন। জিটি ব্যাটসম্যান সাই সুদর্শন এবং শাহরুখ খান মিলে শিবমকে পেটাতে থাকেন।
ওভার শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, ধোনি স্পষ্টতই উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং তাঁর ফিল্ডারদের দিকে চিৎকার করতে দেখা যায়। ধোনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন কারণ, কেউ তাঁর পরামর্শ এবং নির্দেশাবলী অনুসরণ করছিলেন না। স্টার স্পোর্টসের শেয়ার করা ভিজ্যুয়াল অনুসারে, দলের ফিল্ডাররা সঠিক ভাবে না ফিল্ডিং না করায় হতাশ বলে মনে হচ্ছিল ধোনি, বিশেষ করে বোলার মাথিশা পাথিরানা এবং দুবের উপর তিনি বেশ বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন।
দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ধোনি বলটি রবীন্দ্র জাদেজার হাতে তুলে দেন, যার তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়ে। শাহরুখ খানকে ফেরান জাদেজা, যিনি টাইমিংস ভুল করেন এবং শর্ট থার্ড ম্যানে পাথিরানার হাতে ধরা পড়েন। মাত্র তিন বল পরে, জাদেজা আবার আঘাত হানেন, সাই সুদর্শনকেও আউট করেন তিনি। সুদর্শন আবার ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দুবের কাছে ধরা পড়েন। ধারাভাষ্যকাররা ধোনির এই দ্রুত সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেন এবং তার কৌশলগত প্রতিভার প্রশংসা করেন।
ধোনির অবসর নিয়ে জল্পনা
এদিকে গত কয়ের মরশুম ধরেই চেন্নাইয়ের শেষ ম্যাচে খোঁজ নেওয়া শুরু হয়ে যায় যে, পরের বছর ধোনি আইপিএলে ফিরবেন কিনা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ম্যাচের আগে টসের সময় সঞ্চালক রবি শাস্ত্রী ঘুরিয়ে জানতে চান, ধোনির শরীর পরের বছরেও মাঠে নামার মতো পরিস্থিতিতে রয়েছে কিনা। যার উত্তরে মাহি এমন কিছু কথা বলেন, যাতে তাঁর অবসর নিয়ে তেমন কোনও ইঙ্গিত মেলেনি।
ধোনি বলেন, ‘লড়াইয়ে শরীর সঙ্গ দিচ্ছে। বিশেষ করে আপনি যখন কেরিয়ারের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকেন, প্রতিটা বছর একটা নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দেয়। শরীরের দিকে নজর দেওয়া দরকার। যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতাম, তখনও শরীর খুব একটা সমস্যায় ফেলেনি। ধন্যবাদ জানাতে হয় মেডিক্যাল টিম ও সাপোর্ট স্টাফদের।’