বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > ঢাকঢোল পিছিয়ে কলকাতায় প্রক্রিয়াকরণের প্ল্যান্ট, 'অথচ নিয়মিত যাচ্ছে না বর্জ্য'!
পরবর্তী খবর
ঢাকঢোল পিছিয়ে কলকাতায় প্রক্রিয়াকরণের প্ল্যান্ট, 'অথচ নিয়মিত যাচ্ছে না বর্জ্য'!
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 12 Aug 2023, 07:33 AM ISTMD Aslam Hossain
কলকাতায় প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে নির্মাণ বর্জ্য উৎপাদিত হয় সেই নিরিখে মুম্বাইয়ে ও চেন্নাইয়ের পরেই কলকাতার স্থান। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে দূষণ ঠেকাতে ওই প্লান্ট তৈরি করেছে কলকাতা পুরসভা।
Ad
নির্মাণ বর্জ্য।
কলকাতার নির্মাণ বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের লক্ষ্যে প্ল্যান্ট তৈরি হয়েছে রাজারহাট–নিউ টাউনের পাথরঘাটায়। কলকাতা পুরসভায় নির্মাণ বর্জ্য ওই প্ল্যান্টে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ। এই প্ল্যান্টের দৈনিক বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা রয়েছে ৫০০ টন। অথচ সেখানে নিয়মিত বর্জ্য পৌঁছাচ্ছে না বলেই অভিযোগ উঠেছে। কোনও-কোনও দিন এক টন বর্জ্যও পৌঁছচ্ছে না। এই অবস্থায় মাঝেমধ্যেই প্ল্যান্টটি বন্ধ রাখতে হচ্ছে। মাসচারেক আগে সেটি উদ্বোধন করেছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই অবস্থায় প্ল্যান্টে নির্মাণ বর্জ্য না পৌঁছানোয় উঠেছে প্রশ্ন।
পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতায় প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে নির্মাণ বর্জ্য উৎপাদিত হয়। মুম্বইয়ে ও চেন্নাইয়ের পরেই কলকাতার স্থান। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে দূষণ ঠেকাতে ওই প্লান্ট তৈরি করেছে কলকাতা পুরসভা। জানা গিয়েছে, এই সংস্থার প্ল্যান্টের রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি সংস্থা। সেই সংস্থা প্রতি টন পিছু ৩৬৯ টাকা করে পেয়ে থাকে পুরসভার কাছে। সেই হিসেবে বছরে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা দেবে পুরসভা।
প্রশ্ন হচ্ছে, এত বর্জ্য উৎপাদিত হওয়ার পরও সেগুলি কোথায় যাচ্ছে? পুরসভার আধিকারিকদের দাবি, বর্জ্য উৎপাদক নির্মাণ বর্জ্য সরানোর জন্য পুরসভাকে টাকা দিয়ে থাকে। অথচ বাইরের কোনও সংস্থা সেই বর্জ্যের পরিবর্তে উৎপাদককে টাকা দিয়ে থাকে। অর্থাৎ সেই বর্জ্য বিক্রি করে থাকেন উৎপাদক। এই অবস্থায় পুরসভার হাতে টাকা দিয়ে বর্জ্য তুলে দেওয়ার পরিবর্তে বর্জ্য বিক্রি করার ওপরে বেশি আগ্রহী উৎপাদকরা। যার ফলে অনেক সময় পুরকর্মীদের খালি হাতে ফিরে আসতে হচ্ছে। আর স্বাভাবিকভাবেই তাতে প্রভাব পড়ছে ওই প্ল্যান্টে।