HT Bangla Exclusive: ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, ট্যাংরায় খুন করা হয়েছে দুই বধূ ও এক মেয়েকে। কিন্তু, প্রাথমিক জেরায় দে পরিবারের দুই ভাই পুলিশকে জানান, আর্থিক অনটনের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সত্যিই কি ট্যাংরার ৩ মৃত্যুর (ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী খুন) পিছনে আর্থিক অনটন দায়ী? খোঁজ করল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
ছয় সংস্থার নামে ব্যবসা
একটি নয়, মোট ছয়টি সংস্থা ছিল দে পরিবারের নামে (Kolkata Tangra Case Update)। অর্থাৎ ছয়টি আলাদা আলাদা সংস্থার নামে চলত পারিবারিক ব্যবসা। প্রয়াত প্রদীপকুমার দের ব্যবসাই বড় করার লক্ষ্য নিয়েছিলেন দুই পুত্র প্রণয় দে ও প্রসূন দে । তবে শুধু একটি সংস্থা নয়, ২০০৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ছয়টি সংস্থার ডাইরেক্টর পদে বসেছেন দুই ভাই। বসিয়েছেন পরিবারের আত্মীয়দেরও।হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে এই প্রতিটি সংস্থার তথ্য খতিয়ে দেখা হল।
কোন কোন সংস্থার নামে ব্যবসা?
কোটি কোটি অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল প্রায় প্রতি সংস্থাতেই। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসাগুলির ভরাডুবিও হচ্ছিল। এর কিছুটা ধরা পড়েছে সংস্থার বার্ষিক মূল্যায়নে। আবার কিছুটা জানিয়েছেন দুর্ঘটনার পর উদ্ধার হওয়া দুই ভাই। HT বাংলার তদন্তে উঠে এসেছে মোট ছয়টি সংস্থার নাম। এর মধ্যে সর্বশেষ সংস্থার ব্যবসায় দুই ভাই মনপ্রাণ ঢেলেছিলেন — ‘প্রোটেকটিভ লেদার গ্লাভস প্রাইভেট লিমিটেড’। এছাড়া অন্যান্য সংস্থাগুলি হল — রূপপুর কৃষি ও রেশম কো প্রাইভেট লিমিটেড, পেলিকান এন্টারপ্রাইজেস প্রাইভেট লিমিটেড, এবিজি টাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেড, সানগোল্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড, পিকে গ্লাভস প্রাইভেট লিমিটেড।
আরও পড়ুন - Tangra Incident Update: ট্যাংরার বাড়িতে তিনজনকেই 'খুন', ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে আর কী আছে?
সংস্থার ডাইরেক্টর ছিলেন আত্মীয়রাই
পরিবারের দুই ভাই মূলত ব্যবস চালালেও অনেক সদস্যই ডাইরেক্টর পদে যোগ দিয়েছিলেন, সম্ভবত ভাইদের অনুরোধেই। দে পরিবারের বধূ, প্রণয়-প্রসূনের কাকিমা নমিতা দে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানান, তাঁকে ডাইরেক্টর পদে রাখা হলেও ব্যবসা দুই ভাইই দেখভাল করত। তিনি ব্যবসার কিছুই জানতেন না। বাড়ির মেয়েদের ওসব নিয়ে মাথা ঘামাতে বলা হয়নি কখনও।