সুপ্রিম কোর্টের বৃহস্পতিবারের নির্দেশের পরে কিছুটা হলেও কি স্বস্তিতে চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ? এনিয়ে মিলেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তথাকথিত যোগ্যদের সবার মনেই যে সাময়িক স্বস্তি এমনটা নয়। ফের পরীক্ষা, ফের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে, এটা ভেবেই বিরাট টেনশনে পড়ে গিয়েছেন অনেকেই। সব মিলিয়ে ডিসেম্বরের পরে যে কী হবে তা নিয়ে কিছুটা হলেও দিশেহারা চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ।
নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার সময়সীমা বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আগামী ৩১ মে'র মধ্যে নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে হবে। জানাতে হবে বিস্তারিত তথ্য। আর আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ শোনার পরে চাকরিহারাদের অনেকেই সাময়িক স্বস্তি পেলেও আবার পরীক্ষা দিতে হবে শুনে অনেকেই বেশ টেনশনে পড়েছেন। আসলে ফের পরীক্ষা দিতে হবে এই কথা শোনার পরে চাপা টেনশন কিছুতেই যাচ্ছে না।
একাধিক সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন তাঁরা।
চাকরিহারা এক শিক্ষক বলেন, বেতনটা চালু থাকছে। কিন্তু কেবলমাত্র কয়েক মাসের জন্য এটা থাকবে এমনটা আমরা চাইছি না। আমরা চাইছি স্থায়ীভাবে সসম্মানে স্কুলে ফিরতে। যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কথা বলা হচ্ছে তাতে আমরা অংশগ্রহণের জন্য খুব আগ্রহী এটা একেবারেই নয়। আমরা চাইছি আমরা যেভাবে ছিলাম সেভাবেই স্কুলে ফিরতে।এজন্য় আইনি লড়াই আমরা চালিয়ে যাব।
অপর এক চাকরিহারা বলেন, আমরা আশাহত। ডিসেম্বর পর্যন্ত পড়াতে পারব এটা তো আমরা চাইছি না। আমরা তো ৬০ বছর পর্যন্ত পড়াতে এসেছি। আমরা এই দোলাচলের জীবন চাই না। সরকারি চাকরির পরীক্ষায় পাশ করে আমরা এখানে এসেছি। আমরা আইনগত লড়াই চালাব।
এক চাকরিহারা শিক্ষিকা বলেন, একটা শিক্ষাবর্ষের মাঝে সব কিছু যদি স্থগিত হয়ে যায় তাহলে সবথেকে ভুগতে হবে পড়ুয়াদের। সেক্ষেত্রে এটা ভেবে ভালো লাগছে যে তাদের ভোগান্তি কিছুটা কমবে। কিন্তু অযোগ্য বলে যাদের চিহ্নিত করা হয়নি তাদের কেন আবার পরীক্ষা দিতে হবে?
আসলে মূল টেনশনটা আবার পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে। পড়ুয়াদের যেমন পরীক্ষা নিয়ে টেনশন থাকে। তেমনি দেখা যাচ্ছে চাকরিহারা স্যার দিদিমণিদেরও পরীক্ষা নিয়ে টেনশন কিছু কম নয়। ফের পরীক্ষা দিতে হবে এটা শুনেই আতঙ্কে কাঁটা হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। টেনশন যেন কাটছে না কিছুতেই।