ভিন্ন ধর্মে বিয়ে করার পর থেকেই আক্রমণের মুখে সোনাক্ষি সিনহা। আর এই সমস্যা ঘরে বাইরে। বলিউডের ভিতরের খবর, অভিনেত্রীর বিয়েতে মত ছিল না, তাঁর দুই দাদা লব ও কুশের। তাই রেজিস্ট্রির দিন রাতে যে রিসেপশন পার্টি দিয়েছিলেন জাহির ও সোনাক্ষি, তাতেও ছিলেন না লব ও কুশ।
সম্প্রতি সোনাক্ষির এক পোস্টে এক নেটিজেন কটাক্ষভরা মন্তব্য করেন, ‘তোমার ডিভোর্সের সময় ঘনিয়ে এসেছে’। আর এমনমন্তব্যে রীতিমতো মেজাজ হারান শত্রুঘ্ন কন্যা। কড়া জবাব দেন সেই নেটিজেনকে। তিনি জবাবে লেখেন, ‘প্রথমে তোর মা-বাবা করবে, তারপর আমি। কথা দিলাম।’
৯ বছরের প্রেম সোনাক্ষি ও জাহিরের। ডবল এক্সেল ছবি করার সময় একে-অপরকে মন দিয়েছিলেন। এরপর ২০২৪ সালে আইনি কাগজে সইসাবুদ করে বিয়েটা করে ফেলেন। দাবাং অভিনেত্রী স্পষ্ট করেছেন ইতিমধ্যেই যে, তিনি মোটেও ধর্ম বদলাননি। বরং স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুসরণ করেই হয়েছে বিয়েটা।
বিয়ের পর থেকেই, একের পর এক কাপল গোল দিয়ে চলেছেন সোনাক্ষি ও জাহির। তাঁদের হানিমুন পর্ব তো শেষ হওয়ার নামই নিচ্ছে না। এখনও নতুন প্রোজেক্টে হাত দেননি অভিনেত্রী। বরং, বিবাহিত জীবন আরও একটু উপভোগ করে নিতে চান বলেই খবর।
সোনাক্ষির বর, জহির ইকবালের জন্ম ১৯৮৮ সালের ১০ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে, এরপর বোম্বে স্কটিশ স্কুলে পড়াশোনা করেন। মজার বিষয় হল, অভিনেতা রণবীর কাপুর স্কুলে তাঁর সিনিয়র ছিলেন।জহিরের পরিবার গয়না ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত; তার বাবা ইকবাল রতনসি একজন বিশিষ্ট গয়নার ব্যবসায়ী, যার সঙ্গে সলমন খানের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। আর জাহির ও সোনাক্ষির বিয়েতে তাই ঘটকালির কাজটা করেছিলেন সলমন খানই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শ্বশুরবাড়ি নিয়েও কথা বলেন শত্রুঘ্ন-কন্যা। জানান, জাহিরের পরিবার নানা ভাবে চেষ্টা করে যায়, যাতে তিনি পরিবারের সবার সঙ্গে সাবলীল বোধ করেন। সোনাক্ষির কথায়, ‘একজন মেয়ে হিসেবে, আমি নিজের বাড়িতে অবশ্যই সকলের ভীষণ আদরের ছিলাম। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে সবাই আমাকে মেয়ের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। আমি সত্যি এমন শ্বশুরবাড়ি পেয়ে ধন্য। ওদের মধ্যে একটা দায়িত্ব রয়েছে যে, অন্যের মেয়ে আমাদের বাড়িতে এসেছে। তাই তারা প্রতিবার অতিরিক্ত এমন কিছু করে এবং আমাকে এমন অনুভূতি দেয় যেন আমি সবসময় এখানেই বাস করে আসছি এবং এই বাড়িতে জন্মেছি এবং আমি এই বাড়ির মেয়ে।’