লোকাল ট্রেনে মহিলা কামরা বাড়ানোর প্রতিবাদে বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও যাত্রীদের রেল অবরোধ অব্যাহত রইল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় রেল অবরোধ করেন নিত্যযাত্রীরা। এদিন সকাল থেকে দক্ষিণ শাখার ডায়মন্ড হারবার লাইনে অবরোধ শুরু হয়। সকাল পৌনে ৮টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত উত্তর রাধানগর স্টেশনে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। এর ফলে দক্ষিণ শাখার আপ এবং ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। এরফলে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। (আরও পড়ুন: টাইমের ১০০ প্রভাশালীর তালিকায় ইউনুস, নেই কোনও ভারতীয়, তবে আছে ভারত যোগ)
আরও পড়ুন: ট্রেনের নতুন কামরা অপছন্দ! পুরনো ফেরানোর দাবিতে রেল অবরোধ
অবরোধকারীদের অভিযোগ, মহিলা কামরার সংখ্যা বাড়ানোর ফলে পুরুষ যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে। সাধারণ কামরাগুলিতে যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে। আর মহিলা কামরায় উঠে গন্তব্যস্থলে যেতে গেলেই রেলের টিকিট পরীক্ষকদের হাতে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ট্রেনের বগির সংখ্যা বাড়াতে হবে। এই দাবিতে এদিন সকাল থেকেই রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান রেল যাত্রীরা। (আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে কাছে পেয়ে ভারতের সাথে 'শত্রুতা' বাংলাদেশের? ঢাকাকে হুঁশিয়ারি দিল্লির)
আরও পড়ুন: 'বিহারের মানুষ চায় না যে রাজ্যটা বাংলা হয়ে যাক', মমতার সরকারকে 'অপমান' মন্ত্রীর?
এদিন রেল অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল পুলিশের আধিকারিকেরা। রেল অবরোধের জেরে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ডায়মন্ড হারবার শিয়ালদা লোকাল লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। ট্রেন অবরোধের জেরে মগরাহাট, হোটর, উত্তর রাধানগর সহ ডায়মন্ড হারবার-শিয়ালদা লোকাল লাইনে একাধিক জায়গায় দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁরা মহিলা কামরা বাড়ানোর বিরুদ্ধে নয়। তবে এরফলে পুরুষ যাত্রীদের জন্য কামরার সংখ্যা কমেছে। ফলে সেগুলিতে ভিড় বাড়ছে। তাঁদের আরও বক্তব্য, একজন মহিলা যাত্রী যেকোনও কামরায় উঠতে পারেন। কিন্তু, পুরুষ যাত্রীদের জন্য সেক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। ফলে অবিলম্বে ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে অথবা কোচ বাড়াতে হবে। (আরও পড়ুন: মন্দিরের সামনে থেকে ষাঁড় চুরি রুখতে গিয়ে 'খুন' পুলিশের চালক, জখম ২ পুলিশকর্মী)
উল্লেখ্য, একই দাবিতে বুধবারও দক্ষিণ বারাসাত, মথুরাপুর-সহ একাধিক স্টেশনে রেল অবরোধ করেছিলেন নিত্যযাত্রীরা। যদিও রেলের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়নি। তবে এনিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে রেল কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নেন সেটাই দেখার।