পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে হিংসা-বিতর্কের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মিঠুন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বাংলার হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছেন। এদিকে মমতা দাবি করেছিলেন, বাংলায় ওয়াকফ আইন কার্যকর করতে দেবেন না। এই আবহে ব্যঙ্গের সুরে তিনি প্রশ্ন তোলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি সংবিধানের ঊর্ধ্বে, এই অধিকার তাঁকে কে দিয়েছে? (আরও পড়ুন: 'বুড়ো হতে শুরু করলে…', মমতার ‘অশালীন মন্তব্যে’র নেপথ্যে 'মানসিক চাপ' তত্ত্ব)
আরও পড়ুন: ওয়াকফ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে SC-তে যাওয়া বিজয়ের বিরুদ্ধেই ফতোয়া, মৌলানা বললেন…
ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ মিঠুন চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, 'রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসার জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। তারা সম্প্রদায়কে বিভক্ত করার জন্য কাজ করছে। বাঙালি হিন্দুরা এখন গৃহহীন, ত্রাণ শিবিরে খিচুড়ি খাচ্ছে। তাদের দোষ কী?' (আরও পড়ুন: নিজের দেশেই 'উদ্বাস্তু' তাঁরা, ওয়াকফ হিংসায় ঘরছাড়াদের পাশে রামকৃষ্ণ মিশন)
আরও পড়ুন: চোখ খুলে ঘুমিয়ে পড়া বাংলাদেশের স্বপ্ন ভাঙবে এবার? বড় পরিকল্পনা ভারতের
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনাকে 'পূর্বপরিকল্পিত' বলে বর্ণনা করেন ১৬ এপ্রিল। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে বিএসএফ, কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং বিজেপি এর সাথে জড়িত ছিল। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীদের অনুপ্রবেশ করতে নাকি সাহায্য করেছিল বিএসএফ। মিঠুন চক্রবর্তী মমতার সেই বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকর বলে অভিহিত করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছেন। ভারতের সংসদে পাস হওয়া আইন কার্যকর না করার ক্ষমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কে দিয়েছে? তিনি শুধু মুখ্যমন্ত্রী, সংবিধানের ঊর্ধ্বে নন। (আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে 'হিন্দু বিরোধী' ভাষণ পড়শি দেশের সেনা কর্তার, খসে পড়ল মুখোশ)
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ-এপ্রিলে বাংলায় ২৯৪টি আসনের জন্য বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আবহে এখন থেকেই রাজনৈতিক চাপানউতোর তীব্র হচ্ছে রাজ্যে। এহেন পরিস্থিতিতে ওয়াকফ আইন, সাম্প্রদায়িক হিংসা ও শাসন নিয়ে মমতা সরকারকে ঘিরতে চাইছে বিজেপি। এই আবহে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানান মিঠুন। তিনি দাবি করেন যে হিন্দু সম্প্রদায় এখন বাংলায় একজোট হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পরিকল্পনাকেও নিশানা করে মিঠুন বলেন, 'এখন কিছুই তাদের বাঁচাতে পারবে না, হিন্দুরা তাদের খেলা বুঝতে পেরেছে।'