উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে 'সবথেকে বড় ভোগী' আখ্যা দিয়ে গতকাল আক্রমণ শানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এর জবাবে এবার বিজেপি নেত্রী তথা উত্তরপ্রদেশ মহিলা কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন অপর্ণা যাদব বললেন, 'মানুষ বুড়ো হতে শুরু করলে এই ধরনের কথাবার্তা বলেন।' এর আগে গত ১৫ এপ্রিল একটি সভা থেকে বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন যোগী। ওয়ারফ হিংসার জেরে বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি তোপ দেগেছিলেন মমতাকে। এর জবাবে ১৬ এপ্রিল ইমামদের সভা থেকে যোগী আদিত্যনাথকে 'সবথেকে বড় ভোগী' বলে পাল্টা কটাক্ষ করেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, উত্তর প্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকার মানুষকে ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রেখেছে। (আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে 'হিন্দু বিরোধী' ভাষণ পড়শি দেশের সেনা কর্তার, খসে পড়ল মুখোশ)
আরও পড়ুন: চোখ খুলে ঘুমিয়ে পড়া বাংলাদেশের স্বপ্ন ভাঙবে এবার? বড় পরিকল্পনা ভারতের
মমতার এহেন মন্তব্যের জবাবে উত্তরপ্রদেশের মহিলা কমিশনের উপপ্রধান অপর্ণা যাব বলেন, 'তিনি একটি সম্মানজনক পদে আছেন; তাঁর কাছ থেকে এটা আশা করা যায়নি। আমার মনে হয় যখন একজন মানুষ বৃদ্ধ হতে শুরু করে, তখন সে এই ধরনের কথা বলতে শুরু করে। তাঁর মানসিক চাপ এবং বাংলার পরিস্থিতির কারণে তিনি মুখ্যমন্ত্রী যোগী সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উত্তরপ্রদেশের মানুষদের সম্পর্কে খুব নোংরা কথা বলেছিলেন। জনগণ জ্ঞানী, তারা সবকিছু দেখছে।' (আরও পড়ুন: নিজের দেশেই 'উদ্বাস্তু' তাঁরা, ওয়াকফ হিংসায় ঘরছাড়াদের পাশে রামকৃষ্ণ মিশন)
এর আগে যোগী আদিত্যনাথ মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে গত ১৫ এপ্রিল বলেছিলেন, 'ডান্ডা ছাড়া দাঙ্গাবাজদের সোজা করা যায় না। বাংলা জ্বলছে, অথচ সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী নীরব। এই দাঙ্গাবাজদের শান্তির দূত সেখানকার মুখ্যনমন্ত্রী।' এর জবাবে ১৬ এপ্রিল মমতা বলেন, 'যোগী বড় বড় কথা বলছে। যোগীই সবথেকে বড় ভোগী। মহাকুম্ভে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে? কত মানুষ আহত হয়েছেন? কোনও তালিকা আপনি মানুষের সামনে এনেছেন? বড় বড় কথা বলছেন। এনকাউন্টার করে কত মানুষকে মেরেছেন? কাউকে একটা মিছিল করতে দেন না। মানুষকে ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রেখেছেন৷ বাংলায় তো স্বাধীনতা আছে। সিপিএম, কংগ্রেস, এসইউসি এমন কি অতি বামেরাও মিছিল করে। আর বিজেপির তো অনুমতি লাগে না, ওদের অনুমতি অন্য জায়গা থেকে চলে আসে।'