প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আর তার জেরে একে একে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন ঘরছাড়ারা। মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত ধুলিয়ান এলাকার গৃহহীন বাসিন্দারা যে হিংসা প্রত্যক্ষ করেছিলেন সেই আতঙ্ক বুকে নিয়েই ঘরে ফেরা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। আজ শুক্রবার সেই কাজ অব্যাহত রয়েছে। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় জানান, এখনও পর্যন্ত মোট ৮৬টি পরিবার ফিরে এসেছে। পুলিশ কর্তারা আশাবাদী বাকি গৃহহীন পরিবাররাও দ্রুত ফিরে আসবে। আজ, শুক্রবার সকালে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের ডাকবাংলো মোড়ে আসে রাজ্য পুলিশের সিট এবং ফরেনসিক দল।
এদিকে মুর্শিদাবাদ জেলার ধুলিয়ানেই প্রথম অগ্নিসংযোগ করে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল এবং তার জেরে ভস্মীভূত হয়ে যায় ক্যাফে। আজ সেটা খুব ভাল করে পরিদর্শন করছেন তদন্তকারীরা। ট্রাফিক গার্ডে শুরু হয়েছে নমুনা সংগ্রহের কাজ। জঙ্গিপুর মহকুমার সামশেরগঞ্জ এবং আশেপাশের এলাকায় যে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছিল তার তদন্ত করার জন্য রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি (আইনশৃঙ্খলা) নির্দেশে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: পার্ক স্ট্রিটের বহুতলে বিধ্বংসী আগুন, গুড ফ্রাইডের দিনে চাপে পড়লেন দমকল কর্মীরা
অন্যদিকে গত কয়েকদিনের হিংসার পর এখন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। মুর্শিদাবাদে বিভিন্ন এলাকা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসছে। খুলেছে দোকানপাঠ, বাজার হাট, চলছে যানবাহন। একই সঙ্গে বাড়ি ফিরছেন ঘরছাড়ারা। আজ, শুক্রবার সকালে ধুলিয়ানে সব দোকানপাট খোলা হয়েছে। বাজার হাটে মানুষজনের চেনা ভিড় দেখা গিয়েছে। নতুন করে আর কোনও উত্তেজনার খবর এখন আর নেই। গত বুধবার রাতে নবাবের জেলায় অশান্তি চরম আকার নিয়েছিল। সেই ঘটনাই এবার খতিয়ে দেখতে রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল হাজির হয়েছে। তবে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘জঙ্গিপুরে ঘটে যাওয়া ঘটনার তদন্তের স্বার্থে যা যা করা দরকার বিশেষ তদন্তকারী দল সব করবে।’
এছাড়া রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকারের নেতৃত্বে ওই বিশেষ দলে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় এবং সংশ্লিষ্ট তিন থানা, সুতি, সামশেরগঞ্জ এবং ফরাক্কার ওসিরা রয়েছেন। আছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডেপুটি সুপার এবং সিআই পদমর্যাদার কয়েকজন অফিসারও। ইতিমধ্যেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অশান্তি তৈরির ঘটনায় ধৃতদের জেরা শুরু হয়েছে। পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করতে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের ১০ সদস্যের একটি দল এসেছে। ওই বিশেষজ্ঞ দল ও সিটের তদন্তকারীরা জাফরাবাদ গ্রামে, যেখানে দুটি খুনের ঘটনা ঘটেছিল সেখানে গিয়ে আজ নমুনা সংগ্রহ করেন।