সহিংসতা কবলিত মুর্শিদাবাদ জেলার পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। এদিকে ধুলিয়ান এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে এখনও। এই আবহে ৮ দিন পর সেখানে নিজের জুতো শেলাইয়ের দোকান খুললেন শিবা রবিদাস। বার্তাসংস্থা এএনআই-কে তিনি এই কথা জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বাজারে অনেক দোকান খুললেও অন্যান্য হিন্দুদের দোকানপাট বন্ধ ছিল এই ক'দিন। (আরও পড়ুন: চিকেনস নেকের খুব কাছেই বাংলাদেশের মাটিতে নির্মাণ কাজে হাত লাগাচ্ছে চিন: রিপোর্ট)
আরও পড়ুন: 'ওয়াকফ তো অজুহাত মাত্র, উদ্দেশ্য কাফেরদের নির্মূল করা', বিস্ফোরক BJP MLA
তিনি বলেন, 'হিংসার দিন শেষবার দোকান খুলেছিলাম, তার আট দিন পর আজ খুলেছি। এত বিশৃঙ্খলা ছিল... কিছুদিন আগে বাজারে দোকানপাট খুললেও হিন্দুদের দোকানপাট বন্ধ ছিল। গতকাল ঘোষণা করা হয়েছিল, পুলিশ ও (নিরাপত্তারক্ষী) বাহিনীর তরফে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা থাকায় দোকানপাট খোলা যাবে।' এদিকে এএনআই-এর কাছে শিবা দাবি করেছেন যে সহিংসতার দিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছিল। তাঁর কথায়, 'দোকান খুলেও আবারও বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা রয়েছে। হিংসার দিন জনতা এসে থানা ঘেরাও করে। দুই-তিনজন খুন হয়েছে... পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়েও গেছেন। আমি আগের মতোই শান্তি চাই। কোনও সংঘর্ষ হওয়া উচিত নয়।' (আরও পড়ুন: ভারতে টেসলা-স্টারলিংক আসা নিয়ে জল্পনা, এরই মাঝে মাস্কের সঙ্গে আজ কথা বললেন মোদী)
আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষের বাড়িতে তাবড় BJP নেতারা, বিয়ে নিয়ে 'বিতর্ক' প্রসঙ্গে সুকান্ত বললেন…
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। এই হিংসার জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কিশোর আছে। সে গত ১১ এপ্রিল গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এদিকে ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন স্থানীয়রা। এই আবহে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলে তা না নেওয়ার ঘোষণা করেন নিহতের পরিবার। এদিকে এলাকায় শানতি ফেরাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বিএসএফ।
এদিকে ১২ এপ্রিল ধুলিয়ান পুরসভাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। সেদিন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ধুলিয়ানে একটি শপিংমলেও লুটপাট চালানো হয়েছিল। এদিকে ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আলির বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী বিধায়ককেও হেনস্থা করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। এছাড়া জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুরের অফিসেও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে মুর্শিদাবাদে হিংসার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।