এখনও ২৪ ঘণ্টা হয়নি বিয়ে হয়েছে দিলীপ ঘোষের। তার মধ্যেই রাজ্য–রাজনীতির মতো এখন সামাজিক জীবনে চর্চিত হয়ে উঠলেন এই দাবাং নেতা। যখন প্রথম খবর এসেছিল যে, দিলীপ ঘোষ বিয়ে করতে চলেছেন তখন ঝড় বয়ে গিয়েছিল রাজনীতির ময়দানে। যাইহোক অবশেষে সমস্ত জল্পনা, গুঞ্জন কাটিয়ে শুক্রবার বিয়ে হয়েছে দিলীপ–রিঙ্কুর। তখন এক হয়েছে চার হাত। এই বিয়ের পর এখন দিলীপ ঘোষের নিউটাউনের বাড়িতে শুভেচ্ছার ঢেউ আছড়ে পড়ছে। তাই তো আজ, শনিবার সকালে ফুরফুরে মেজাজে নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণ করতে দেখা গেল তাঁকে। এসবের মধ্যে এখন বাদুড়িয়ায় ভাইরাল হয়ে গেল ‘স্পেশাল’ মিষ্টি।
কেন এই মিষ্টি ‘স্পেশাল’? এই মিষ্টি একেবারেই সাধারণ নয়। কারণ মিষ্টির উপর লেখা রয়েছে, শুভ বিবাহ দিলীপ–রিঙ্কু। এই ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। আর তাতেই দিলীপ ঘোষ সামাজিক জীবনেও জনপ্রিয় হয়ে উঠলেন। এখন ওই মিষ্টিই তুমুল সাড়া ফেলে দিয়েছে বাদুড়িয়া এলাকায়। কারণ ওই মিষ্টি কেনার ক্রেতার লাইন লেগে গিয়েছে দোকানে। আর ওই মিষ্টি কিনে বিজেপির কর্মীরা নিজেরাই খাচ্ছেন। আর আনন্দ উপভোগ করছেন। এই মিষ্টি কিনছেন এলাকার মানুষজনও। আর এই স্পেশাল মিষ্টি কিনে পথ চলতি মানুষদেরও মিষ্টিমুখ করানো হচ্ছে। টিভি–৯ বাংলার সূত্রে এই খবর মিলেছে।
আরও পড়ুন: হুগলির নদীর তীরবর্তী এলাকায় পর্যটনকেন্দ্র গড়তে উদ্যোগ অভিষেকের, কোথায় হচ্ছে?
একদা রাজ্য সভাপতি, বিধায়ক, সাংসদ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। বুকে পা তুলে দেব থেকে প্রকাশ্য রাস্তায় মহিলার বাপ চোদ্দ পুরুষ উদ্ধার করা দিলীপ ঘোষ এখন ঘোর সংসারি। ৬১ বছর বয়সে বিয়ে করেছেন দিলীপ ঘোষ। আর রিঙ্কু মজুমদার বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী। সুতরাং এক্ষেত্রেও তিনি দলবদল করেননি। রিঙ্কুর এক ছেলেও রয়েছে। তাতে কী হয়েছে! প্রেম তো এসব ভেবে হয় না। ঘটে যায়। তারপর সেখান থেকে শুভপরিণয় সম্পন্ন। বিজেপি বিরোধী রাজনীতিবিদরাও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষকে। শুভেচ্ছা জানালেন সঞ্জয় ঘোষও। এক্স হ্যান্ডেলে নয়, তাঁর দোকানে স্পেশাল মিষ্টি বানিয়ে। যেটা সাড়া ফেলে দিয়েছে গোটা বাদুড়িয়াতে বলে টিভি–৯ বাংলার দাবি।
এই স্পেশাল মিষ্টি এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। তাই তো মিষ্টির দোকানের মালিক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। প্রচুর লোক এই স্পেশাল মিষ্টির অর্ডার দিয়েছে। অনেক মিষ্টি তৈরি করে ফেলেছি আমরা। সবই এখন শেষ।’ এই ঘটনা দেখে বিজেপির বাদুড়িয়ার কনভেনার বিশ্বজিৎ পাল আনন্দের সঙ্গে টিভি–৯ বাংলাকে বলেছেন, ‘দিলীপদা রিঙ্কু বৌদির বিয়ে উপলক্ষ্যে এই স্পেশাল মিষ্টি তৈরি হয়েছে। এই মিষ্টি আমরা নিজেরা খেয়েছি এবং মানুষকেও খাওয়ালাম। পথচলতি মানুষজনকে মিষ্টি খাওয়ালাম। আমরা চাই দিলীপদার দাম্পত্য জীবন সুখের হোক।’