সংসদে পাশ হওয়া নতুন ওয়াকফ আইনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে। এই সহিংসতায় তিনজন মারা গেছেন। ঘরছাড়া কয়েকশো মানুষ। আর এই বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের কুন্ডা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রঘুরাজ প্রতাপ সিং ওরফে রাজা ভাইয়া। তাঁর প্রশ্ন, হিন্দুরা কতদূর দৌড়াবে? সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পোস্ট করে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। (আরও পড়ুন: সীমান্ত এলাকায় যেখানে হিন্দু কম, সেখানে তাঁদের অস্ত্র রাখতে দেওয়া হোক: শুভেন্দু)
আরও পড়ুন: কীভাবে 'প্রেম' দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদারের? কোথায় প্রথম দেখা দু'জনের?
রাজা ভাইয়া তার পোস্টে লেখেন 'কেহ রহিম ক্যায়সে নিভাই, কের বার কো সাং...' তিনি আরও লেখেন, 'এটা সবাই জানে যে বিলটি সংসদে পাস হওয়ার পরে এটি দেশের আইনে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে দেশের সব রাজনৈতিক দল ও মতাদর্শ ওয়াকফের পক্ষে ও বিপক্ষে বিভক্ত। দল হোক বা বিরোধী, সকলেই একমত হবেন যে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে পিতা-পুত্রকে যে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, যাদের বাড়িঘর, দোকানপাট জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং লুঠ করা হয়েছে... শুধু তাই নয়, অসংখ্য হিন্দু নারী ও শিশুদের জীবন ও পরিচয় বাঁচাতে নিজেদের বাড়িঘর ও গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল, তাঁদের ওয়াকফ সংশোধনী বিলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। বিল পাসে তাদের কোনও ভূমিকা নেই। তারা নিজেরাও জানে না এই ওয়াকফ কী।' (আরও পড়ুন: বেলজিয়ামে ধৃত মেহুল চোকসিকে কি ভারতে ফেরানো যাবে? কী বলছে MEA?)
আরও পড়ুন: সেক্স পোজিশন নিয়ে ঠাট্টা করে হিন্দুদের অপমান, HC-তে চলল মন্ত্রীর বক্তব্য, তারপর…
তিনি আরও লেখেন, 'কী দোষ ছিল তাদের? এমনকী মসজিদের সামনে তারা 'ডিজে' বাজায়নি! ওয়াকফ আইনের অজুহাতে 'সংখ্যালঘুরা' কোনও কারণ ছাড়াই সুপরিকল্পিত হিংস্র হামলা চালিয়েছে, প্রতিদিন এ ধরনের হামলার শিকার হওয়া এখন হিন্দুদের নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সর্বোপরি, হিন্দুরা কতদিন এবং কতদূর দৌড়াবে? তারা ভারতে নিরাপদে থাকবে ভেবে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছিল, এখন এখান থেকে পালিয়ে তারা কোথায় যাবে? (আরও পড়ুন: ২৬/১১ মুম্বই হামলার চক্রী তাহাউরকে নিয়ে পাকিস্তানকে 'রিমাইন্ডার' দিল ভারত)
এরপর বিজেপি বিধায়ক আরও বলেন, 'যাঁরা দিনের পর দিন সংসদ থেকে রাস্তায় সংবিধান নাড়ান, তাঁদের এটাও মনে রাখা উচিত যে সংবিধানের রূপকার বাবাসাহেবের সংবিধানে ওয়াকফ শব্দটি কখনও ছিল না। তাঁর দর্শনেও এর কোনও যৌক্তিকতা ছিল না। হত্যা, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে 'কাফেরদের' সঙ্গে। হত্যার আগে কারও জাত জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে না। সবচেয়ে বড় পরিহাস হল, ওবিসি ও দলিতদের তথাকথিত স্বঘোষিত নেতারা এ নিয়ে মুখ খোলারও সাহস পান না। বিলটি একটি অজুহাত মাত্র, উদ্দেশ্য 'কাফেরদের' নির্মূল করা।'