উত্তপ্ত হয়ে উঠল নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। গুজরাট টাইটান্স বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচে বড় রান তুলল দুই দলই। অর্থাৎ বোলাররা একটু বিরক্তই হবেন ম্যাচের পর। জোস বাটলারের দুরন্ত ইনিংসের সৌজন্যে গুজরাট টাইটান্স ম্যাচ জিতে নিল, আর দিল্লি ক্যাপিটালস দেখল এবারের আইপিএলে দ্বিতীয় হার।
গুজরাট টাইটান্স বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচই উত্তপ্ত হয়ে উঠল এক বর্ষিয়ান ক্রিকেটার এবং এক তরুণ ক্রিকেটারের মধ্যে বাগযুদ্ধে। এক্ষেত্রে অবশ্য তরুণ না প্রবীণ,কোন ক্রিকেটারটির দোষ সেটা বলা যাচ্ছে না। তবে ইশান্ত শর্মা এবং আশুতোষ শর্মা, দুই শর্মার দ্বৈরথে আমদাবাদের স্টেডিয়াম শিরোনামে উঠে এল।
আসলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে আশুতোষ শর্মা ভালোই খেলছিলেন। তিনিই শেষ পর্যন্ত ১৯ বলে ৩৭ রান করে দিল্লিকে ২০০র কাছাকাছি পৌঁছে দেন। ১৯তম ওভারে বোলিং করতে এসেছিলেন ইশান্ত শর্মা। সেই সময় মারমুখী আশুতোষের বিরুদ্ধেই আম্পায়ারের কাছে একটা আপিল করেন বর্ষিয়ান পেসার ইশান্ত। কিন্তু আম্পায়াররা আশুতোষকে আউট দেননি।
১৯তম ওভারে আশুতোষের সঙ্গে ঝামেলায় ইশান্ত
১৯তম ওভারে একটি বল আশুতোষের কাঁধে লেগে চলে যায় জোস বাটলারের কাছে। তিনি ক্যাচ নিয়ে ইশান্তের সঙ্গেই আপিল করেন। কিন্তু আম্পায়াররা জানান বল কাঁধে লেগেছে আশুতোষের। যা দেখে দিল্লির ব্যাটার রিপ্লের অপেক্ষা না করেই সরাসরি কাঁধের দিকে ইশারা করেন এবং নিজের কাঁধের স্লিভস বা কলার তুলে দেখান। আর সেই দৃশ্য দেখেই খচে বোম হয়ে যান ইশান্ত শর্মা। এরপরই দিল্লির ব্যাটারের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়ান তিনি।
গিল এসে ঝামেলা থামান
ঝামেলায় এতটাই বেড়ে যায় যে এরপর গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক শুভমন গিলকে এগিয়ে আসতে হয় সেই ঝামেলায় মিমাংসা করার জন্য। ইশান্ত তাতেও চুুপ থাকেননি, তিনি টানা বকবক করতে করতে এরপর ডাগ আউটে চলে যান। দেখা যায়, ডাগ আউটে গিয়েও নিজের রাগের বহিঃপ্রকাশ করছিলেন তিনি। এরপর পিছন থেকে ক্রিকেটাররা তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন।
ইশান্ত বনাম আশুতোষের ঝগড়া
ইশান্ত কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গেই আরও তীক্ষ্ণ হয়ে উঠছেন। বল হাতে এদিন তিন ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন বল। বোলিংয়ের ক্ষেত্রে নিজের দুরন্ত লাইন লেন্থ এবং গতির সঠিক মিশ্রণ ঘটাচ্ছেন দিল্লি থেকে উঠে আসা এই ক্রিকেটার। তবে নিজের রাজ্যের দলের বিরুদ্ধেই তাঁর এই ঝামেলায় জড়ানো একদমই ভালো চোখে দেখছে না কেউ। প্রসঙ্গত ম্যাচ অবশ্য ইশান্ত শর্মার দলই সহজে জিতে নিল।