
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
ওয়াকফ হিংসা ইস্যুতে কার্যত পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের। তিনি আদ বললেন, বিহারের মানুষ চায় না যে এই রাজ্যটা বাংলায় পরিণত হোক। এরই সঙ্গে তিনি আরজেডি এবং তেজস্বী যাদবকে তোপ দাগেন ওয়াকফ ইস্যুতে। মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনা টেনে এনে কার্যত পশ্চিমবঙ্গের সরকার ও প্রশাসনকে 'অপমান' করেন বিজেপি নেতা। এরই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'রাজধর্ম' পালনের উপদেশ দেন গিরিরাজ। (আরও পড়ুন: নিজের দেশে উদ্বাস্তু তাঁরা, ওয়াকফ হিংসায় ঘরছাড়াদের পাশে রামকৃষ্ণ মিশন)
আরও পড়ুন: 'বাঙালি হিন্দুদের জন্যে হুমকি মমতা', ওয়াকফ হিংসার আবহে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের
ওয়াকফ নিয়ে বার্তাসংস্থা এএনআইকে গিরিরাজ বলেন, 'তেজস্বী যাদব বলেন যে তিনি যখন (ক্ষমতায়) আসবেন, তখন তিনি ওয়াকফ (সংশোধনী আইন) বাস্তবায়ন করতে দেবেন না... তারা কি এই (বিহারকে) বাংলায় পরিণত করতে চায়? তারা কি বিহারের মানুষকে মুর্শিদাবাদের ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে যাতে এটি বাংলায় পরিণত হয়? বিহারের মানুষ আরজেডির নেতৃত্বে রাজ্যটিকে বাংলায় পরিণত করতে চায় না।' (আরও পড়ুন: 'বুড়ো হতে শুরু করলে…', মমতার ‘অশালীন মন্তব্যে’র নেপথ্যে 'মানসিক চাপ' তত্ত্ব)
আরও পড়ুন: ওয়াকফ হিংসায় খুন হরগোবিন্দ-চন্দনের পরিবার নেবেন না ক্ষতিপূরণ, মমতাকে বললেন...
এদিকে গতকাল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে তোপ দেগেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদে ওয়াকফ ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে জেডিইউ সমর্থন জানানোয় ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। একই সঙ্গে চন্দ্রবাবু নাইডুর বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছিলেন মমতা। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে গিরিরাজ সিং বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর রাজধর্ম পালন করেননি। তাঁর প্রশাসনের অধীনে সহিংসতা চলছে, এবং হত্যার যুগ চলছে।' (আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে 'হিন্দু বিরোধী' ভাষণ পড়শি দেশের সেনা কর্তার, খসে পড়ল মুখোশ)
আরও পড়ুন: ওয়াকফ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে SC-তে যাওয়া বিজয়ের বিরুদ্ধেই ফতোয়া, মৌলানা বললেন…
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। এই হিংসার জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কিশোর আছে। সে গত ১১ এপ্রিল গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এদিকে ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ স্থানীয়দের। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এলাকায় এখন বিএসএফ টহল দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জের রানিপুরের জাফরাবাদে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, বাবা ও ছেলেকে প্রথমে পেটানো হয়েছে, তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। এরপর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাড়ি ও টোটো। অভিযোগ, পুলিশকে বারবার ফোন করা হলেও পুলিশ আসেনি।
এদিকে ১২ এপ্রিল ধুলিয়ান পুরসভাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এদিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয় এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধুলিয়ানে একটি শপিংমলে লুটপাট চালানো হয়। এদিকে ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আলির বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী বিধায়ককেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। হেনস্থা করা হয় বিধায়ককে। জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুরের অফিসেও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে মুর্শিদাবাদে হিংসার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি এলাকায় টহল দিচ্ছে বিএসএফ।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports